করোনার সুরক্ষাবিধি মেনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বিশেষ এই দিনটিতে সংক্ষিপ্ত আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য ছিল জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ভিডিও চিত্র প্রদর্শণী ও আলোচনা সভা ও দোয়া কামনা।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অন্যান দেশের মত জার্মানিতেও এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবেও উদযাপন করার কথা থাকলেও করোনার পরিস্থিতির খারাপ হওয়ার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসী শিশু-কিশোরদের জন্য আগামী ২০ তারিখে সংক্ষিপ্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে বার্লিনের এই দূতাবাস কতৃপক্ষ।
জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। করোনার বিধি মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ একাত্তরের রনাঙ্গনে শহীদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পর অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জার্মান ও বার্লিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অন্যান অঙ্গসংগঠনসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা।
পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা। দেখানো হয় বঙ্গবন্ধুর জীবন নির্মিত তথ্যচিত্রটিও। এসময় জাতির জনকের জীবন সংগ্রাম ও দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জার্মান ও বার্লিন আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর খান, শাহ আলম, মাসুদুর রহমান, নূরে আলম সিদ্দিকী রুবেল, নোমান হামিদ, সুমন রানা শেখ, সুর্য কান্ত ঘোষ, মোহাম্মদ কুদ্দুস আলী যুবলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বদিউজ্জামান, মাইনউদ্দিন, পিন্টু আলম, রাশেদ খান, রেদোয়ান, লিখন ও হাসান আহমেদসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন সত্যিকারের বড় একজন নেতা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত