গতকাল রাতে এলআরটি কেলানা জয়া লাইনে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের পর গণপরিবহন অপারেটর প্রসারণ মালয়েশিয়া বিএইচডি ২০০ জনের বেশি যাত্রীর জন্য একটি ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আহতরা সকলে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ মালয়েশিয়ান এক হাজার রিঙ্গিত বা বিশ হাজার পাঁচশ' টাকা পাবেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় গণপরিবহন অপারেটর প্রসারণ মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান দাতুক সেরি তাজউদ্দিন আবদুল রহমানও দাবি করেছেন যে ঘটনাটি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'যে এই বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবো। ঘটনাটি ছিল একটি অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা।এছাড়াও যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাদেরও সহায়তা করব।'
দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের এবং জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি ব্যবস্থাপনার সাথে আলোচনা করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্থ যাত্রীদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। তারা ভর্তি হওয়ার দিন থেকে তাদের অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করব।'
তাজউদ্দীন আরও নিশ্চিত করেছেন, 'দুর্ঘটনার ট্রেনে ২১৩ জন যাত্রী ছিলেন যারা গোম্বাক থেকে কেএলসিসিতে যাচ্ছিলেন। মোট ৬৪ জন যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তিনজনকে ভেন্টিলেটরের সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন হয়।'
চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'দুর্ঘটনার কারণে যারা আয় হারিয়েছেন তারা যতক্ষণ না তারা কাজে ফিরতে উপযুক্ত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের যুক্তিসঙ্গত সংখ্যক দিনের জন্য ব্যয় করতে সহায়তা করব।'
দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি এবং কর্তৃপক্ষ এখনও তদন্ত করছে। তদন্ত প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে এলআরটি এবং অন্যান্য ট্রেনগুলিসহ তাদের ট্রেন পরিষেবাগুলি যথারীতি পুনরায় চালু হবে।
ব্যবস্থাপনার চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং কেবল ২১৩ জন যাত্রী ট্রেনে বহন করেছে, যেখানে ট্রেনের পূর্ণ ক্ষমতা আসলে ৮০০। এই বিষয়ে তাজউদ্দিন বলেন, 'এমসিও (মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার) কার্যকর হওয়ার পর থেকে আমরা এত বেশি যাত্রীকে কখনো অনুমতি দিইনি।'
দুর্ঘটনার সময় যে সমস্ত যাত্রী ট্রেনের মধ্যে থাকা তাদের নিজস্ব জিনিসপত্র ফেলে গেছেন তা পুনরায় দাবি করতে একটি হটলাইন নাম্বার ও একটি ইমেইলের কথাও জানান দাতুক সেরি তাজউদ্দিন ।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে দুইটি এলআরটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় কমপক্ষে ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় ৪৭ যাত্রী। এলআরটি ট্রেন কেএলসিসি স্টেশনের কাছে ভূগর্ভস্থ অংশে একটি যাত্রীবাহী ও খালি ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির