জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপন করেছে জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার জার্মানিতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। করোনা মহামারির কারণে বিধিনিষেধ মেনে অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মো. খালিদ হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও অতিথিবৃন্দকে অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জীবন ও কর্মের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে সকলের উদ্দেশে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া রাষ্ট্রপতির বাণী এবং দূতাবাসের মিনিস্টার মো. মুর্শীদুল হক খান প্রধানমন্ত্রীর ও দূতাবাসের কাউন্সেলর মিজ কাজী তুহিন রসুল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জার্মানিতে বসবাসরত কমিউনিটি সদস্যগণসহ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. মুর্শীদুল হক খান এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল ইসলাম বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে জীবনব্যাপী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ভূমিকা এবং তার ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গমাতা একজন স্ত্রী, একজন মাতা এবং রাজনীতিবিদ এর সহধর্মিনী হিসেবে আজীবন স্বীয় কর্তব্যপালনে প্রজ্ঞা, ধৈর্য্য, সাহস ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, জাতির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন বঙ্গমাতা। পিতা-মাতার আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তাদের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জন্মবার্ষিকীতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোন এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন