শিরোনাম
- পর্নগ্রাফি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র?
- মির্জা ফখরুলের চোখের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন
- ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
- অসীম-অপুর ১৪ ফ্ল্যাট ও ৫ দোকান দেখভালে রিসিভার নিয়োগ
- যার মাথার দাম ছিল এক কোটি ডলার, তার সঙ্গেই হাত মেলালেন ট্রাম্প
- হতাশাজনক মৌসুম, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাতিল করল ম্যানইউ
- সমালোচনার মুখে বদলে গেল ‘আ-আম জনতা’ পার্টির নাম
- আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১.৩ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে জুনেই
- ভারতের আলোচিত কর্নেল সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসীদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী
- যমুনায় গেলেন জবি উপাচার্য-ট্রেজারার
- মোদি ফের হামলা চালাতে পারেন, প্রস্তুত থাকতে হবে : ইমরান খান
- হঠাৎ আইপিএলে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ
- আয়নাঘর পরিদর্শনে কেরি কেনেডি, দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা দিলেন মীর আহমাদ
- সাবেক সাত মন্ত্রী-এমপি নতুন মামলায় গ্রেফতার
- বন্দী বিনিময় : পূর্ণমকে ছাড়ল পাকিস্তান, মোহাম্মদউল্লাকে ভারত
- জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামকে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: তিন আসামি কারাগারে
- গোপালগঞ্জে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মশালা
- বগুড়ায় কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক ওয়াহেদ ফকির
- রাতে আপনি ঘুমান কীভাবে, সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্প
যথাযোগ্য মর্যাদায় ইসলামাবাদে জাতীয় শোকদিবস পালিত
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১৫ আগস্ট) দূতালয়ে কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ, আলোচনা, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সকলে কালোব্যাজ ধারণ করেন। এরপর সকলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা ও স্মরণসভা শুরু হয়। এরপরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়গণের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তাগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তুলনাহীন অবদান এবং তার জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী তার বক্তব্যে শোকাবহ এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর সাথে সকল শাহাদাতবরণকারীর আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি যা জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবিতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন, '৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, '৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, '৬২ এর গণবিরোধী শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, '৬৬ এর ৬ দফা, '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং '৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি শুধু বাঙালি জাতিরই নন, তিনি ছিলেন সকল নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের ও মুক্তির অগ্রনায়ক। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও অর্থনীতিতে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুণর্বাসন ও পুণর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র মুক্ত, শোষণ-বঞ্চনাহীন সোনার বাংলা বিনির্মানের কাজ শুরু করেন।
হাইকমিশনার আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতা বিরাধী মহলের ষড়যন্ত্রে কতিপয় বিপথগামী কুচক্রী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের এ চক্রান্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সাময়িকভাবে থামিয়ে দিলেও চিরতরে রুদ্ধ করে দিতে পারেনি ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ‘রূপকল্প ২০২১’ সফল বাস্তবায়ন করেছে এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
হাইকমিশনার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে করোনা অতিমারির সময়েও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ দারিদ্র বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে তার স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে 'উন্নয়নের রোল মডেল' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিগত এক যুগে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে ।
সবশেষে, জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' গড়ার কাজে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর