মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদে অনলাইন জরিপে এগিয়ে আছেন দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। সাম্প্রতিক টুইটার জরিপে দেখা গেছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য শীর্ষ পছন্দ বিরোধী নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম।
পিকেআর সভাপতি প্রায় ৪০,০০০ মোট প্রতিক্রিয়া থেকে ৬৯.৬% ভোট পেয়েছেন, যা টুইটারে মালয়েশিয়ান অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য ভাইবস দ্বারা পরিচালিত জরিপে অন্যান্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত নেতৃত্ব।
ভোটের অন্যান্য রাজনীতিকরা ছিলেন দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব, টেংকু রাজালিঘ টেংকু হামজা এবং দাতুক সেরি হিশামুদ্দিন হুসেন, যারা সবাই উমনো থেকে এসেছেন।
গত রবিবার থেকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকা জরিপটিতে নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাদের শীর্ষ পছন্দ কে হবে, তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের কি পদত্যাগ করা উচিত। সেই সময়ে, ৩৭ হাজার ৪শ'৭ টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের ভোট দিয়েছেন।
জরিপে হিশামুদ্দীন ১৫.২% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে, ইসমাইল সাবরি ১০.৩% ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন, টেংকু রাজালেঘ মাত্র ৪.৯% নিয়ে সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছিলেন।
মুহিউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেওয়ার একদিন আগেই এই ভোট শুরু হয়, যার ফলে দেশের শীর্ষ পদটি বেশ কয়েকজন প্রতিযোগীর কাছে খালি থাকে।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার আরেকটি জরিপে টুইটার ব্যবহারকারীরা পেরিকাতান ন্যাশনাল সরকারের সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রমী মন্ত্রী ছিলেন বলে ৫ হাজার ৮শ' ৫০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৮৯% ভোট পেয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন খয়েরি জামালউদ্দিন। খয়েরি জামালউদ্দিন, যিনি জাতীয় কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি নেটিজেনদের মতে তিনি কঠোর পরিশ্রমী।
দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন হিশামুদ্দিন, ১৫.২% ভোট পেয়ে। ৪% নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী দাতুক সেরি টেংকু জাফরুল টেংকু আবদুল আজিজ। প্রাক্তন উপ -প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি মাত্র ২%নিয়ে শেষ স্থানে এসেছিলেন।
প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত বছরের মার্চ থেকে নিয়মিতভাবে দেশের অসংখ্য লকডাউনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) ঘোষণা করে আসছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওহ ই সান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি বিশ্বাস করেন আনোয়ার বা সাবেক প্রধানমন্ত্রী তুন ড. মাহাথির মোহাম্মাদ এই দুই প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী পদের ভূমিকার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
তিনি দ্য ভাইবসকে বলেন, 'আমাদের এমন একজন দৃঢ় সংকল্পশীল ব্যক্তির প্রয়োজন যিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং প্রচুর অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।' সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদ গ্রহণের বিষয়ে, ওহ বলেন, 'আনোয়ার এবং ইসমাইল সাবরি দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু ইসমাইল সাবরি মুহিউদ্দিনের মতো একই মন্ত্রিসভা থেকে আসার পর খুব উদ্দীপ্ত এবং তিনি মুহিউদ্দিনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু যখন মুহিউদ্দিনের প্রতি সমর্থন হ্রাস পাচ্ছিল, তখন তিনি (ইসমাইল সাবরি) ঘুরে দাঁড়ালেন এবং নিজের জন্য সমর্থন চেয়েছিলেন, যা বরং অপ্রীতিকর এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার একটি নতুন বোতলে পুরানো মদের মতো। অন্যদিকে, প্রবীণ, টেংকু রাজালেঘ, প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কারণ তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি নন।'
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, টেংকু রাজালিঘ টেংকু হামজা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কারণ তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি নন। হিশামুদ্দিনের জন্য, ওহ বলেছিলেন, জনসাধারণের পক্ষে তাকে অপছন্দ করা কঠিন কারণ তিনি 'কিছুটা বেশি খোলা এবং উদার' দৃষ্টিভঙ্গিতে স্পষ্টভাষী। যাই হোক, তাকে দলীয় সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সমর্থনের অভাব দেখা যাচ্ছে। দাতুক সেরি মোহাম্মদ শফি আপডাল একজন 'ডার্ক হর্স' প্রার্থী যাকে প্রতিযোগিতা থেকে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক আজমি হাসান বলেন, আনোয়ার এবং ইসমাইল সাবরি উভয়ই তাদের দল এবং রাজনৈতিক অংশীদারদের সমর্থনের কারণে জনপ্রিয় পছন্দ।
আমি এই মুহূর্তে অন্ধকার ঘোড়া হিসেবে টেংকু রাজালিঘ এবং ড. মাহাথিরকে দেখছি। একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিভাজনের উভয় পক্ষের সমর্থন প্রয়োজন। সুতরাং আনোয়ার এবং ইসমাইল সাবরির জন্য, তারা অন্ধকার ঘোড়া নয় কারণ তারা উভয় পক্ষের সমর্থন পেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির
