আগামী ৩১ আগস্ট মালয়েশিয়ার ৬৪তম স্বাধীনতা দিবস। মালয়েশিয়ান গণমাধ্যম দ্য স্টার সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে এই বছরও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ নাও হতে পারে, কিন্তু মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানীতে জ্বলবে আলো।
দেশটির বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক, পেরদানা পুত্র ভবন, সেরি ওয়াওয়াসান এবং সেরি সওজানা সেতু এবং পুত্রজায়া লেক ফোয়ারা, রাতে নীল, হলুদ এবং লাল- মালয়েশিয়ার পতাকার রঙে আলোকিত করা হবে। ৩১ আগস্টে দেশের ৬৪তম জাতীয় দিবস উদযাপনে ৭ আগস্ট থেকে প্রতি রাতে (সন্ধ্যা ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত) এই দৃশ্যটি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া দিবস পর্যন্ত থাকবে।
সরকারি কর্মচারী আইরিন আলং (৩৫) বলেছেন, কোভিড -১৯ মহামারী দেশপ্রেম প্রকাশের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে কিন্তু মালয়েশিয়ার পতাকার রঙে আলোকিত পারদানা পুত্রা ভবনের দিকে তাকালে দেশপ্রেমের অনুভূতি এবং জাতীয় উদযাপনের আগ্রহ জাগে। এদিন আমি রঙিন কুচকাওয়াজ এবং এয়ারশো মিস করবো, বিশেষ করে ফাইটার জেটস দ্বারা তৈরি করা প্রিন্সিন্ট ১৮-তে থাকা।
এছাড়াও ৩৪ বছর বয়সী সিতি পরিদাহ বুসাইরি বলেন, তিনি সেরি ওয়াওয়াসান ব্রিজের জলুর জেমিলাংয়ের (জাতীয় পতাকা) রঙে বিমোহিত। আলংকারিক লাইটগুলো দেশপ্রেমের চেতনা জাগায়। মালয়েশিয়ান হিসেবে আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া দরকার। কারণ মহামারীর মধ্যেও আমরা এখনও শান্তি ও সম্প্রীতিতে থাকতে সক্ষম। মহামারী স্বাধীনতার প্রশংসা করতে শিখিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহামারীর আগে স্বাধীনতা দিবসে আমরা কেনাকাটা করা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং ভ্রমণের মতো ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা গ্রহণ করেছি। আর এখন বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে বন্দী থাকতে হয়, যা স্বাধীনতার অর্থকে আমার কাছে অনেক বেশি অর্থবহ করে তোলে।
পুত্রজায়া কর্পোরেশনের (পিপিজে) সভাপতি দাতুক মুহাম্মদ আজমি মোহাম্মাদ জাইন বলেন, একটি বিশেষ জাতীয় দিবস এবং মালয়েশিয়া দিবসের কর্মসূচির আওতায় চারটি বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক আলোকিত করা হচ্ছে। এই ল্যান্ডমার্কগুলি ছাড়াও, পুত্রজায়ায় আরও বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি ভবনও জাতীয় মাস উদযাপনের জন্য বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ আলো দ্বারা আলোকিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়, বিচারের প্রাসাদ এবং ডোরসেট হোটেল পুত্রজায়াসহ ৩১টি ভবন উষ্ণ সাদা আলো দিয়ে আলোকিত হচ্ছে। এছাড়াও পুত্রজায়া আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার (পিআইসিসি), মসজিদ তুয়ানকু মিজান জয়নাল আবিদিন এবং প্রধানমন্ত্রীর আইন বিষয়ক বিভাগ প্রিন্সেন্ট -এ বিভাগগুলো অভ্যন্তরীণ আলো দিয়ে আলোকিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির