শনিবার, ১১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পড়তে পড়তে উদ্যোক্তা

পড়তে পড়তেই উদ্যোক্তা হয়েছেন মো. শাহজালাল। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেখিয়েছেন সফলতাও। তার প্রতিষ্ঠানে দেড় ডজন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন। আইটি খাতে শত শত তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

নজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

পড়তে পড়তে উদ্যোক্তা
সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন হলে তিনি সেখানে ১ হাজার ১৪০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ নেন। গড়ে তোলেন টেকনোসফট বাংলাদেশ নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ১৬ জন তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে, যাদের সবাই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী

 

পড়তে পড়তেই উদ্যোক্তা হয়েছেন মো. শাহজালাল। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন শাহজালাল। গত বছর যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন হলে তিনি সেখানে ১ হাজার ১৪০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ নেন। গড়ে তোলেন টেকনোসফট বাংলাদেশ নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ১৬ জন তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে, যাদের সবাই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করেন শাহজালাল। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। একটি ই-কমার্স সাইট খুলে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। টেকনোসফট বাংলাদেশের যাত্রাও শুরু হয় তখন।

শাহজালাল বলেন, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধন হলে ঢাকার টেকনোসফটকেই যশোরে নিয়ে আসি। এই প্রতিষ্ঠানটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার তৈরি, নেটওয়ার্কিং ও ডাটা নিয়ে কাজ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছেন আজহারুল ইসলাম। যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি। আজহারুল বলেন, ‘আমি সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। এ খাতেই ক্যারিয়ার গড়তে চাই। তাই সরকারি চাকরির চেষ্টা কখনো করিনি। টেকনোসফটে নেটওয়ার্কিং ও সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, এই চাকরির টাকা দিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত কোর্স শেষ করছি।

যশোরের শার্শা উপজেলার বন্দরনগরী বেনাপোলের সন্তান শাহজালাল। স্কুল শিক্ষক বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা কেউই চাননি যে ছেলে ব্যবসা করুক। কিন্তু পরে সবাইকে তিনি বোঝাতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম প্রতিবন্ধকতা আসে পরিবার থেকে। তাই একজন তরুণ উদ্যোক্তার জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ পরিবারকে কনভিন্স করা। আবার সরকারিভাবে তরুণ উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে না। পদে পদে রয়েছে নানান বাধা। একজন তরুণ উদ্যোক্তার ঠিক কোথায় কোথায় হেল্প প্রয়োজন, সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সমস্যাগুলো চিহ্নিত না করে অপরিকল্পিতভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর