শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

গরুর ফার্মে আছে ডাইনোসর

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

গরুর ফার্মে আছে ডাইনোসর

বগুড়ায় ডাইনোসরের দেখা মিলল। বিশালদেহীর ডাইনোসর খাচ্ছে, গোসল করছে, বসতে বললে বসছে, উঠতে বসলে উঠছে। প্রায় ১ হাজার কেজির ডাইনোসর! ডাইনোসরের পাশে থাকে পান্ডা। ওজন ৭০০ কেজি। পান্ডার পাশে থাকে লালু। দেখতে বেশ বড়সড়। ডাইনোসর, পান্ডা, লালুদের দেখভাল করতে দিন কেটে যায় ফার্মের মালিক বিপ্লবের। যত দিন গড়িয়েছে ততটায় নিজের ফার্মকে বড় করেছেন। তার হাতে গড়া বগুড়া ভান্ডার এগ্রো ফার্মে ৪ লাখ টাকায় ৬টি গরু দিয়ে শুরু করে এখন কোটি টাকার ১০০টি দেশি-বিদেশি গরু রয়েছে। শখের বশে লালন-পালন করতে গিয়ে খামারে এখন গরুর জন্য জায়গা কমে গেছে। তাই আরও জমি নিয়ে বড় খামার গড়তে উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, তৌহিদ পারভেজ বিপ্লবদের (৩৫) আদিবাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার পাঁচকাতুলি গ্রামে। বাবা তোফাজ্জল হোসেনের জুটমিল, হিমাগার, আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। পরিবারের একমাত্র ছেলে বলে তার বাবাও চেয়েছেন ব্যবসা শিক্ষা নিয়ে বড় হয়ে উঠবে। বগুড়ায় শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এইচএসসি পাসের পর তিনি ব্যবসায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের জন্য নিউজিল্যান্ডে চলে যান এবং সেখানে অকল্যান্ড ইনস্টিটিউট অব স্টাডিজে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস নিয়ে লেখাপড়া করেন। ২০০৯ সালে তিনি লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে আটা ময়দা মিলের পাশাপাশি তিনি প্রায় ৪ লাখ টাকায় ৬টি গরু কিনে ফার্ম গড়েন। সেই ফার্মে এখন রয়েছে ১০০টি বিভিন্ন জাতের গরু। ব্রামহা, হলিস্টিক ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, জার্সি, নেপালি, ভারতী, পাকিস্তানি এবং দেশি জাতের গরুও রয়েছে।

বিপ্লব জানান, ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে কোরবানির জন্য গরু কিনতে গিয়ে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। তাদের পরিবারের সদস্য অনুযায়ী প্রতি বছর ১১টির মতো গরু কোরবানি হয়ে থাকে। তাই ২০০৯ সালেই গরুর ফার্ম গড়েন। প্রথম বছর বিভিন্নজনের কাছ থেকে গরু কিনে ফার্ম গড়েন।

ফার্মে থাকা বেশির ভাগ গরুর নামকরণ করে থাকে। একটি বিদেশি জাতের গরুর নাম দিয়েছেন ডাইনোসর, পান্ডা ইত্যাদি। বিপ্লব আরও জানান, ডাইনোসর প্রতিদিন পানি খেয়ে থাকে ২০ লিটার। দানা, খড়, ঘাস, গম মিলিয়ে প্রতিদিন ১৬০ কেজি খাবার খায়। প্রতিদিন পানিসহ গরুটির পেছনে ১৮০ কেজি খাবার খরচ করতে হয়। দেখতে এখনই সে ছোট হাতির মতো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর