শিরোনাম
২৯ জুলাই, ২০১৯ ১৮:২৫

ভিআইপি ও ডিসিই তিতাসের খুনি

পীর হাবিবুর রহমান

ভিআইপি ও ডিসিই তিতাসের খুনি

পীর হাবিবুর রহমান

তিতাসকে কে খুন করেছে? মাদারীপুরের ডিসি ওয়াহিদুল? নাকি যুগ্মসচিব সবুর? তদন্ত কমিটি আমলাদের দিয়ে কেনো? সংসদীয় কমিটি করে দোষীদের বের করে, শাস্তি চাই। দেশটা কি একদল আমলা ও ডিসির বাপদাদার? বঙ্গবন্ধুর ডাকে এজন্য কি এতো রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো?

এক ধরনের ডিসি আছে যারা জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হলেও জেলা প্রশাসক হয়ে নিজেদের জেলার জমিদার মনে করে! কিছু সরকারি কর্মচারীকে বাড়ির চাকর বানায়। তাদের বউরা নিজেদের মহারানী মনে করে।

এদের কোন ছেলেবেলা নেই। এর ওর বাড়ি, খেয়ে থেকে টিউশনি করে বড় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ডাইনিংয়ে ডালের পাতলা পানিভাত নয়, রুমে হিটারে ভাত রেধে আলু ভর্তা দিয়ে খেয়েছে। ছাত্রজীবনের আনন্দভোগ কপালে জুটেনি। মনের দারিদ্রতা মুছেনি, গণমুখী মানবিক হয়নি। হীনমন্যতায় আমলা হয়ে ক্ষমতা দেখায়।

মাদারীপুরে ফেরি সময়মত ছাড়তে কিশোর তিতাসের মা পা ধরে আকুতি জানালেও ছাড়েনি। তিতাসকে বহন করা এ্যাম্বুলেন্স তিনঘণ্টা আটকে রেখেছিলো। ডিসি বলেছে, ভিআইপি যাবে! তাই বলে তিনঘণ্টা এক যুগ্মসচিবের জন্য ফেরি আটকে মর্যাদা! বিনিময়ে বিলম্ব হওয়ায় পথেই অধিক রক্তক্ষরণে তিতাস নামের ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু!

এর আগে দুই টিএনও এক ডাক্তার ও এক শিক্ষককে পা ধরিয়েছে। এরা যদি এমপি মন্ত্রী হয়, জনগনণকে শায়েস্তা করতে আর কিছু লাগতোনা। বিমান আটকে দিতো। ঘরে ঘরে খাজনা তুলতো। ময়মনসিংহের এক ডিসিতো বিদায়বেলা নিজেও বউকে রাজা রাণীর পোষাকে সাজিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে শহরঘুরে দেশে হাসির খোরাক হয়েছিলেন।

এরা ডিসি, টিএনও, যুগ্মসচিব হলেও মানুষ হয়নি। এরা সংখ্যায় কম, কিন্তু বড় ঘটনা, ভয়ংকর অপরাধে শীর্ষে। এসব আমলার চেয়ে জনপ্রতিনিধি অনেক উত্তম। এই দুই খুনীকে বরখাস্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় আনা হোক। আর ভিআইপিদের গণমিছিল থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়া হোক।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর