বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রস্তুতি ম্যাচেও গুরুত্ব অনেক

বাংলাদেশ-নেপাল মুখোমুখি আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রস্তুতি ম্যাচেও গুরুত্ব অনেক

সাফ ফুটবল দ্বারপ্রান্তে। ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় এ আসরের পর্দা উঠবে। ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে। ২০০৩ সালে সাফে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় রজনীর নেতৃত্বে মালদ্বীপকে পরাজিত করেছিল। এরপর একযুগ ধরেই চলছে ব্যর্থতা। গত দুই আসরে ফল ছিল খুবই হতাশাজনক। গ্রুপ পর্ব খেলেই দেশে ফিরে আসেন মামুনুল, এমিলিরা। ভারত একাধিকবার ট্রফি ঘরে তুলেছে। পরে এসে আফগানিস্তানও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেক্ষেত্রে সামর্থ্য থাকার পরও বাংলাদেশের একবার শিরোপা জেতাটা হতাশাজনকই বলা যায়। কেন পারছে না সেটাই রহস্য। ফুটবলারদের অভিযোগ আছে দায়সারা প্রস্তুতির জন্য সাফে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। তবে একথা একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এলেই দেখা যায় জোড়াতালি প্রস্তুতি।

আগে যাই হোক। এবার প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্তত অভিযোগ তোলার সুযোগ নেই। জানুয়ারি থেকেই লোকাল ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মাঠে রয়েছেন ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ম্যাচও খেলা হয়েছে একাধিক। ফল সুখকর না হলেও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। ফুটবলাররাই বলেছেন, এ অভিজ্ঞতা সাফে কাজে লাগানো যাবে। ভুলত্রুটি শোধরানোর সুযোগ পেয়েছেন তারা। সুজুকি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নামার আগে নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আজ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল পাঁচটায় ম্যাচ শুরু হবে। নেপাল বাংলাদেশের গ্রুপে নেই। তবে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় ফুটবলে শক্তিশালী দল। ১৯৮৪ ও ১৯৯৩ সালে দুবার সাফ গেমসে সোনা জেতার কৃতিত্ব রয়েছে। সুতরাং শেষ প্রস্তুতির জন্য নেপালের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন বাংলাদেশের। তেমনি নেপালের কাছে।

বাংলাদেশের কোচ মারুফুল হক মারুফ বলেন, হারজিত অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু এ ম্যাচ দেখে আমি বুঝতে পারব ফুটবলারদের প্রস্তুতিটা কেমন হয়েছে। কোনো পজিশনে ঘাটতি আছে কিনা তা ম্যাচে টের পাওয়া যাবে। নেপালও সাফে শক্তিশালী দল। সুতরাং প্রস্তুতি হলেও এ ম্যাচের গুরুত্ব অনেক। নেপাল এমন সময় সাফ খেলতে নামবে যখন তাদের মাসিক অবস্থা ততটা ভালো নেই। পাতানো ম্যাচের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের পাঁচজন ফুটবলার নিষিদ্ধ হয়েছেন। দেশটির কিংবদন্তি সাবেক ফুটবলার গনেশ থাপাও একই অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন। তাই খেলোয়াড়দের চাঙা করতে নেপালের কাছেও আজকের ম্যাচে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। দলের বেলজিয়াম কোচ প্যাট্রিক ও অধিনায়ক অনিল গুরুম বলেন, বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী দল। সাফের আগে এ ম্যাচ আমাদের উপকারই আসবে। তাদের টার্গেট সেমিতে খেলা। তাই পরীক্ষাটা ভালোমতোই করা যাবে। অধিনায়ক অনিল বলেন, গত বছর বাংলাদেশে আমরা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলি। ঢাকায় হারলেও সিলেটে জয়লাভ করি। দলের বেশ ক’জন খেলোয়াড় এবারও ঢাকা এসেছেন। এ ম্যাচ খেলার পরই নেপাল সাফের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে। গ্রুপ ম্যাচে নেপাল মুখোমুখি হবে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপে পাকিস্তান থাকলেও আগেই তারা সাফ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যে কারণে নেপালের সেমিফাইনাল খেলা অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়।

আজকের প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোলরক্ষক হিমেল, কেস্ট কুমার, কোমল, এমিলি ও জামাল ভূঁঞা আজকের ম্যাচে মাঠে নামবেন না। ইনজুরিতে কেস্ট ও কোমলের সাফে খেলার সম্ভাবনা কমই বলা যায়। ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু জানান, জামাল সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আশা করি তিনি কেরালায় যেতে পারবেন। কিন্তু এমিলির ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। অনুশীলনের কারণে বাংলাদেশের কোচ ও অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আমিরুল ইসলাম বাবু।

সর্বশেষ খবর