বিশ্বকাপ মঞ্চে মাশরাফিরা নামছেন আত্মবিশ্বাসের শীর্ষে থেকে। আয়ারল্যান্ডে তিন জাতির টুর্নামেন্টে দাপুটে ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই টাইগাররা এখন লিস্টারশ্যায়ারে। শুধু তিন জাতির টুর্নামেন্টের শিরোপাই নয়, গত দেড় বছরের পরিসংখ্যানেও মাশরাফিরা বেশ এগিয়ে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে তিন জাতির টুর্নামেন্ট পর্র্যন্ত ২৭ ওয়ানডে খেলে মাশরাফির নেতৃত্বে টাইগাররা জিতেছে ১৭ ম্যাচ। হেরেছে ১০টি। পরিসংখ্যানের হিসাবে বিশ্বকাপের ১০ খেলুড়ে দেশের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে শুধুমাত্র ইংল্যান্ড ও ভারত। সংখ্যার হিসেবে মাশরাফিদের চেয়ে পিছিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান। দেড় বছরে বাংলাদেশ তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে মিরপুরে তিন জাতির টুর্নামেন্টের ফাইনাল, সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে এশিয়া কাপ এবং সর্বশেষ ডাবলিনে তিন জাতির ফাইনাল। এছাড়াও টাইগাররা ওয়ানডে সিরিজে দুবার হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, একবার নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়েকে। পরিসংখ্যানে সবার উপরে ইংল্যান্ড ৩৫ ওয়ানডে খেলে জয় তুলে নিয়েছে ২৪টি। হেরেছে ৮টি এবং ফল হয়নি ৩টিতে। দুইয়ে থাকা ভারত ২২টি জিতেছে ৩৩ ম্যাচে। হেরেছে ৭টি এবং টাই হয়েছে ২টি। চারে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭ ম্যাচে বাংলাদেশের সমান ১৭ ম্যাচে জিতেছে। চমক জাাগনো পারফরম্যান্স আফগানিস্তানের। ২৭ ম্যাচে দলটির জয় ১৫টি। হার ১০টি। টাই একটি এবং খেলা হয়নি একটিতে। ২৪ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় ১২, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৮ ম্যাচে ১২ জয়, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ২৬ ম্যাচে জয় ১১, পাকিস্তানের ৩৩ ম্যাচে ১০ এবং শ্রীলঙ্কার ২৫ ম্যাচে জয় মাত্র ৬টি।