বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্মরণীয় অলিম্পিকের অপেক্ষায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্মরণীয় অলিম্পিকের অপেক্ষায়

২০২১ সালের জুলাই মাসে আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে চাই করোনার বিপক্ষে যুদ্ধ জয়ের একটি প্রতীক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রমাণ হিসেবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট। তাই আমাদের  এই গেমস আয়োজনে সফল হতে হবে

 

জাপান সামনের বছর টোকিওতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে বদ্ধপরিকর। এই গেমস আয়োজনের মাধ্যমে দেশটির জনগণের একটি স্বপ্নপূরণ হবে। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ মন্তব্য করেন।

অলিম্পিক গেমস গত জুলাইতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গেমস এক বছর পিছিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২১ সালে সময়মতোই (২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট) গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এমনকি অলিম্পিক মশালের যাত্রার (টর্চ রিলে) দিনক্ষণও ঠিক করেছেন তারা (২৫ মার্চ, ২০২১)। আগের ঠিক করা রুট ধরেই অলিম্পিক মশাল যাত্রা করে টোকিও পৌঁছবে।

সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ফুকুশিমার জে-ভিলেজ ন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার থেকেই শুরু হবে মশাল যাত্রা। এই শহরটি ২০১১ সালের সুনামিতে ভয়াবহরূপে বিধ্বস্ত হয়েছিল। অলিম্পিক মশাল যাত্রা করে ১২১ দিনে ৮৫৯টি শহর অতিক্রম করে ২৩ জুলাই টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে পৌঁছবে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার বাসভবনে সংবাদমাধ্যমকে জাপানি রাষ্ট্রদূত জানান, জাপান অলিম্পিক গেমস আয়োজনে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত তারা। তিনি বলেন, ‘জাপানি জনগণের জন্য এটি একটি স্বপ্ন। টোকিও অর্ধশত বছরেরও আগে ১৯৬৪ সালে প্রথমবার অলিম্পিক গেমস আয়োজন করেছিল। আমরা এ বছর অলিম্পিক আয়োজন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু করোনার কারণে আমাদেরকে তা এক বছর পিছিয়ে দিতে হলো।’

নাওকি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের জুলাই মাসে আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে চাই করোনার বিপক্ষে যুদ্ধ জয়ের একটি প্রতীক হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রমাণ হিসেবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট। তাই আমাদেরকে এই গেমস আয়োজনে সফল হতে হবে। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ নাওকি স্বীকার করেছেন যে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করা চ্যালেঞ্জ হবে। তবে জাপান এ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। অলিম্পিক গেমস এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় কমপক্ষে অতিরিক্ত ২.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। জাপানি রাষ্ট্রদূত আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে যুক্ত সবার জন্যই এটা চ্যালেঞ্জ। নতুন করে বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রস্তুতিতে অনেক বিঘ্ন ঘটেছে। তবে এখন আমরা জানি কীভাবে এই ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচতে হয়। খুব শিগগিরই ভ্যাকসিন চলে আসবে।’ সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টটি সুন্দরভাবেই আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় এই আয়োজন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন নাওকি। টোকিও অলিম্পিক হবে চমকে ভরা।

সর্বশেষ খবর