ভালো খেলার স্বীকৃতি পেলেন তরুণ ক্রীড়াবিদরা। এর চেয়ে বড় আনন্দের দিন আর কি হতে পারে। তাদের হাতে উঠেছে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট নিজ বাসায় শহীদ হয়েছেন তিনি। সুতরাং তরুণ খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবে শেখ কামালকে দেখেননি। জন্ম হয়নি কারোর। তবু শেখ কামাল নামটি তাদের কাছে খুবই পরিচিত। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র। জীবিত থাকা অবস্থায় শেখ কামাল কতটা খেলা পাগল মানুষ ছিলেন তা শুনেছেন এবং জেনেছেন। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়াচক্র তাঁরই হাতে গড়া। খেলেছেন ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও অ্যাথলেটিকস। দেশের ক্রীড়া উন্নয়নই ছিল শেখ কামালের একমাত্র লক্ষ্য।
দেরিতে হলেও এমন ত্যাগী সংগঠকের নামকরণে ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হলো। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও ক্রীড়া পরিষদ প্রশংসিত উদ্যোগ নিয়েছে। ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটাও তরুণদের বড় প্রাপ্তি। ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের ইতিহাসে দলীয় খেলার মধ্যে ক্রিকেটই বড় সাফল্য এনে দিয়েছে। যার নেতৃত্বে যুব বিশ্বকাপ জিতেছে সেই আকবর আলি উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। তার কথা, ‘এ পুরস্কার পেয়ে আমি আনন্দিত। কী যে বলব ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। শেখ কামাল পুরস্কার আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।’
দুই এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে মেয়েদের বিভাগে টানা তিন সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন, ‘শেখ কামালের মতো খ্যাতনামা সংগঠকের নামে পুরস্কার হাতে উঠছে। আর তা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালি দিচ্ছেন এ-এক স্মরণীয় দিন। এ পুরস্কার পেয়ে আমি উজ্জীবিত।’
রোমান সানা ক্রীড়াঙ্গনে এখন জনপ্রিয় তারকা। আর্চারিতে শুধু সাউথ এশিয়ান নয়, বিশ্ব কাঁপিয়েছেন। সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে পেয়েছেন শেখ কামাল পুরস্কার। বললেন, ‘এ পুরস্কার সোনার চেয়েও দামি। নিজেকে বড্ড সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ভালো খেলার স্বীকৃতি পেলাম। নারী ফুটবলার উন্নতি খাতুন বলেন, ‘ভালো খেলার স্বীকৃতির পুরস্কার পেয়েছি। সত্যিই আমি আনন্দিত।’