সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বেনজেমা-সালাহরা যেন ঢাকাতেই খেললেন

এক সময়ে উয়েফা কাপের আকর্ষণ আমাদের কাছে ততটা ছিল না। রোনালদো, মেসি, নেইমাররা এ আসর বাংলাদেশেরও করে দিয়েছে।

ক্রিকেট বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা তা আমিও স্বীকার করব। তবে বাঙালির রক্তে মিশে গেছে ফুটবল। এক সময় মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ ঘিরে দেশ জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হতো। এখন তা অতীত হলেও উন্মাদনা ঠিকই রয়েছে। বিশ্বে যে কোনো জায়গায় ফুটবলে নামি-দামি দল খেলুক না কেন সেই উত্তেজনা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বকাপ হলেতো কথাই নেই, বাংলাদেশ যেন আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল হয়ে যায়। দুই দেশের খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটেছে। বিশ্বকাপ নয়, তবুও ঢাকা কাঁপছিল। শনিবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হয়েছে প্যারিসে। রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ ঘিরে শহর জুড়ে যে উত্তেজনা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছিল বেনজেমা, সালাহরা ঢাকাতেই ফাইনাল খেললেন। বিভিন্ন জায়গায় জায়ান্ট স্কিন বসিয়ে উৎসব। ধানমন্ডি, বনানী, গুলশানের বড় বড় রেস্টুরেন্টে দুই দলের জার্সি পরে সে কি উন্মাদনা। এক সময়ে উয়েফা কাপের আকর্ষণ আমাদের কাছে ততটা ছিল না। রোনালদো, মেসি, নেইমাররা এ আসর বাংলাদেশেরও করে দিয়েছে। বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগই বাংলাদেশের বড় আকর্ষণ। ইউরোপিয়ানদের লড়াই। অথচ বাংলাদেশে যে উত্তাপ তা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা অনেক দেশেও হয় কি না সংশয় রয়েছে। ফুটবলে আমরা পিছিয়ে আছি তাতে কী রক্তে তো মিশে গেছে। উত্তেজনা থাকবেই। রাত জাগা ঢাকা সুন্দর এক ফাইনাল উপভোগ করল। রিয়ালের সমর্থকরা যেমন আনন্দে নেচেছে। তেমনি লিভারপুল হতাশায় কেঁদেছে।

গোলরক্ষক থিরো কর্তোয়ার ম্যাজিক ভিনিয়াস জুনিয়ারের গোল। সালাহ্র একাধিক সুযোগ হাত ছাড়া। সবকিছু মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল স্মরণীয় হয়ে থাকল। যোগ্য দুদল ফাইনাল খেলেছে। আসছে বিশ্বকাপ, আবার জেগে উঠবে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর