বয়স ৩৫। একজন ফুটবলারের জন্য এই বয়সটা পড়ন্ত বিকাল। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন সুপার লিওনেল মেসিকে দেখে মনে হচ্ছে যেন ২০-২২ বছরের তরুণ। ঠিক একই কথা চলে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মডরিচের বেলাতেও। ৩৭ বয়সেও দারুণ পারফর্ম করছেন এই ক্রোয়েট।
যদিও এই আর্জেন্টিনা কেবলমাত্র লিওনেল মেসিনির্ভর নয়। তারপরও আর্জেন্টিনা যখনই বিপদে পড়ছেন তখনই ত্রাণকর্তা হিসেবে দলকে টেনে তুলছেন মেসি। এই আসরে আর্জেন্টিনা খেলতে এসেছিল টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তারা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হেরে বিপাকে পড়ে যায়। তবে এরপরই যেন আর্জেন্টিনার আসল চেহেরা দেখা যায়। মেসির জাদুতে টানা চার জয়ে একটা সেমিফাইনালে।
মেসি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার অনেক বেশি উদ্দীপ্ত। মাঝমাঠ থেকে ক্ষীপ্র গতিতে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগ তছনছ করে দিচ্ছেন। মেসিকে নিয়ে প্রতিপক্ষ ভীষণ আতঙ্কিত। কারণ, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য কয়েক মুহূর্তই মেসির জন্য যথেষ্ট। মেসিকে আটকে রাখার কোনো কৌশলই কাজে আসছে না। এক মেসিই গড়ে দিতে পারেন ব্যবধান।লুকা মডরিচও নিজেকে আলাদাভাবে মেলে ধরেছেন। পুরো মাঠ দাপিয়ে বেড়ান তিনি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা গেছে, মডরিচ কখনো আক্রমণ শাণিত করছেন আবার দ্রুত নিচে নেমে ডিফেন্সের শক্তি বাড়াচ্ছেন। পুরো মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। সেমিফাইনালেও মডরিচকে আটকে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার জন্য।
আজকের সেমিফাইনালে আসল লড়াইটা হবে মেসি বনাম মডরিচের। মেসিকে আটকাতে না পারলে ফাইনালে খেলার আশা এখানেই শেষ হয়ে যাবে ক্রোয়েশিয়ার। অন্যদিকে মডরিচকে রুখতে না পারলে এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনার স্বপ্নের বিশ্বকাপ যাত্রা।