সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চমকের নাম তৌহিদ হৃদয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চমকের নাম তৌহিদ হৃদয়

চূড়ান্ত হয়েছে বিপিএলের শীর্ষ চার দল। শীর্ষ দুটি স্থানের জন্য জোর লড়াই করছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স, সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল, ইমরুল কায়েশের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স। ২০ ওভারের টুর্নামেন্টের লিগপর্ব শেষ ১০ ফেব্রুয়ারি। ফাইনাল ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং এলিমিনেটর ও কোয়ালিফাইয়ার্স ম্যাচগুলো ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি। দলগুলোর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফোকাস টেনে নিয়েছেন সিলেটের তৌহিদ হৃদয়। ২২ বছর বয়সী তরুণ ওপেনার বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন। ৯ ম্যাচে তার রান ৩৭৩। সেঞ্চুরির কোনো ইনিংস নেই। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। যার প্রথম তিনটিই আবার টানা এবং সর্বশেষ দুটি পর পর। বিপিএলে সবগুলো দলই ১০, ১১টি করে ম্যাচ খেলেছে। এবারের আসরে বড় বড় তারকার অভাব। বিদেশি ক্রিকেটারদের অধিকাংশই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের। এছাড়া জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটারও খেলছেন। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যাটিংয়ে শীর্ষ ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশের। শীর্ষ ৫ ক্রিকেটারের চারজন স্থানীয়। ৩৭৩ রান করে সবার উপরে তৌহিদ। ৩৭১ রান নিয়ে জাতীয় দলের নাজমুল হোসেন শান্ত দুইয়ে, টাইগার টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব ৩৪৭ রান নিয়ে তিনে, সাকিবের সতীর্থ পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতেখার আহমেদ ৩৪৭, নাসির হোসেন ৩৪২ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩২৮ রান করেন।

সিলেট ম্যাচ খেলেছে ১১টি।  তৌহিদ খেলেছেন দুটি কম, ৯টি। হাতের ব্যথা পাওয়ায় খেলেননি। তবে যে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন, তাতে দুই অংকের রান করেননি মাত্র দুটিতে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৫ ও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ০ রান করেন। আসর শুরু করেন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৫৫ রান দিয়ে। পরের দুই ম্যাচে রান করেন যথাক্রমে কুমিল্লার বিপক্ষে ৫৬ ও ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ৮৪ রান করেন। সর্বশেষ দুই ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৭৪ ও রংপুরের বিপক্ষে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তৌহিদের স্ট্রাইক রেট ১৪৯.২০। চার মেরেছেন ৪০টি এবং ছক্কা ১২টি। শান্ত ৩৭১ রান করেছেন ১১ ম্যাচে ১১১/৪১ স্ট্রাইক রেটে। যাতে হাফসেঞ্চুরি ৩টি এবং চার ৩৯ ও ছক্কা ৯টি। তবে সবাইকে বিস্মিত করেছেন সাকিব। ১০ ম্যাচে ১৮৩.৫৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৩ বাউন্ডারিতে ৩৪৭। চার মেরেছেন ৩৪ এবং ছক্কা ২০টি। দারুণ খেলছেন নাসির। ১১ ম্যাচে ৩৪২ রান করেছেন ১২৫.৭৩ স্ট্রাইক রেটে। হাফসেঞ্চুরি ২টি এবং চার মেরেছেন ৩৩ ও ছক্কা ৮টি। আফিফ ১০ ম্যাচে ১২৭.৬২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৩২৮।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর