শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

জামালদের সৌভাগ্য, সাফে বাছাইপর্ব নেই!

হতাশার ফুটবল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হতাশার শেষ নেই। বাংলাদেশের ফুটবলে লজ্জা কোনোভাবে কাটছেই না। সিশেলসের কাছে হারের পর লজ্জা যেন এভারেস্টে উঠে গেছে। এখান থেকে নামার কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যচ্ছে না। ফুটবলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হার বা ব্যর্থতা নতুন নয়। কিন্তু ১৯৯ র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা সিশেলসের কাছে হারায় মানসম্মান ধুলোয় মিশে গেছে। প্রথম ম্যাচে ভাগ্যক্রমে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মনে হয়েছে তপুরা বিশ্বের কোনো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলছে। না আছে গতি না পরিকল্পনা। মাঝেমধ্যে প্রতিপক্ষের পোস্টে ২-১টা শট ছাড়া কিছুই করতে পারছিল না। বড্ড অসহায় মনে হয়েছে বাংলাদেশকে। সিশেলসের জয়টা এসেছে পেনাল্টি থেকে। তাতে কি, জয় জয়ই।

র‌্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য দুই দেশের পার্থক্য তেমন না। বাংলাদেশ ১৯২ ও সিশেলস ১৯৯ নম্বরে। কিন্তু ফুটবলে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কি তুলনা চলে? তপুরা লিগ খেলতে এক সিজনে ৬০-৭০ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে সিশেলসের ফুটবলাররা কোনো অর্থ পান না। লিগে একটা ম্যাচ ভালো খেললে ১০০ বা ১৫০ ডলার পান এই যা। তাদের ফুটবলারের কেউ দেশে মাঝি, কেউ শ্রমিক, সুইপার, মিস্ত্রি। এমন একটা দেশের কাছে হারের পর আর কি আশা করা যায় বাংলাদেশের ফুটবলে সুদিন ফিরবে?

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বলেছেন, ‘প্লিজ, ফুটবল নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না। দেশকেই ছোট করা হবে। লজ্জায় সবার মাথা নিচু।’

অথচ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা ম্যাচ হারার পরও বলেছেন ছেলেরা ভালোই খেলেছে। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলছেন, ‘আমরা সাফ জয়ের আশা রাখি।’ অবশ্য কাবরেরার সমালোচনা করে লাভ নেই। চাকরি বাঁচাতে এ কথা তো বলবেনই। বাস্তবতা হলো সাফে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নেই এখনই বলা যায়। জামাল ভূঁইয়াদের ভাগ্য ভালো যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাছাই পর্ব নেই। তাহলে চূড়ান্ত পর্বে খেলাটাই হয়তো স্বপ্নে পরিণত হতো। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কি এর সঙ্গে একমত হবেন?

 

 

সর্বশেষ খবর