আগের দিন উইকেটের ঘাস একটু ছেঁটেছিলেন কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। তারপরও মিরপুরের উইকেটে সবুজ ঘাস ছেঁয়েছিল। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার সবুজ ঘাসের উইকেট। উইকেটের এমন রূপ দেখেই হয়তো বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট ৯ বছর পর ৩ পেসার নিয়ে একাদশ সাজান। যদিও সাইডস্ট্রেইনের জন্য খেলেননি ছন্দে থাকা দেশসেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিন না থাকলেও সাকিব বাহিনীর একাদশে খেলেছেন তিন পেসার ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। সবুজ ঘাসের উইকেটে তিন পেসার খেলানোর পরও দিনের নায়ক বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার বাঁ-হাতের ঘূর্ণিতে আয়ারল্যান্ড প্রথম দিনেই ২১৪ রানে গুটিয়ে গেছে। কিন্তু শুরুর মতো দিনের শেষটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। আইরিশদের ৭৭.২ ওভারে গুটিয়ে সাকিব বাহিনী দিন শেষ করে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তুলে। আজ দ্বিতীয় দিন ১৮০ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামবে টাইগাররা। এ টেস্টে টস করে সাকিব পেছনে ফেলেছেন হাবিবুল বাশারকে। বাশার অধিনায়কত্ব করেছিলেন ১৮ টেস্টে, সাকিব ১৯ টেস্টে। সবচেয়ে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, ৩৪ টেস্টে।
তিন পেসার বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল মিরপুরে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। রবিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও আল আমিন-তিন পেসার একত্রে ৮১ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ১টি। পরের ২৯ টেস্ট টাইগাররা খেলেছে দুই পেসার বা এক পেসার নিয়ে। মাঝে ৪ টেস্টে সিমিং অলাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন সৌম্য সরকার ও আরিফুল হক। তবে দুজনেই একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবে। গতকাল সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও শরিফুল- তিন পেসার একত্রে ২৯ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন ৩টি। বাকি ৭ উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ। দলনায়ক ও দেশসেরা স্পিনার সাকিব ৬৫ ওভার পর্যন্ত বোলিং করেননি। ৬৬ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। তার স্পেল ৩-১-৮-০। তাইজুল যে টেস্ট স্পেশালিস্ট স্পিনার, তা প্রতি টেস্টেই প্রমাণ করে যাচ্ছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। এ বছর এই প্রথম টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ এবং খেললেন তাইজুল। গতকাল ২৮ ওভারের স্পেলে তিনি মেডেন নিয়েছেন ১০টি। ৫৮ রানের খরচে নিয়েছেন ৫ উইকটে। ৪১ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার ১১তম পাঁচ বা ততধিক উইকেট। সবচেয়ে ১৯ বার পাঁচ বা ততধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড সাকিবের। ৬৬ টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ২৩১টি। অফ স্পিনার মিরাজ ২ উইকেট নিয়েছেন ৪৩ রানের খরচে। তার স্পেল ১৭.২-৪-৪৩-২। ৩৮ টেস্টে মিরাজের উইকেট ১৪৮টি।