রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

৫ মে শেষ হচ্ছে কমিটির মেয়াদ

হকিতে নির্বাচনী দামামা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বৈধ বা অবৈধ যেটাই হোক না। মমিনুল হক সাঈদ পুরো দমে হকি ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে অবশ্য কেউ আপত্তি করছেন না। সাঈদ বলেছিলেন, আবারও সাধারণ পদে নির্বাচনে করব কি না তা জানি না। আগে ফেডারেশনের কাজগুলো গুছিয়ে নিই। এটা ঠিক সাঈদ এখনো নিজে ঘোষণা দেননি। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি নির্বাচনে করবেন তা নিয়ে সংশয় নেই। কৌশলও পাল্টিয়েছেন সাঈদ। গত নির্বাচনে যারা তার বিরোধিতা করেছিলেন তাদেরই কাছে টানছেন। বিশেষ করে শীর্ষ দুই ক্লাবের দুই কর্মকর্তাকে সব সময় তার পাশে দেখা যাচ্ছে।  একজন সহ-সভাপতি আরেক জন নির্বাচন ফেল করা প্রার্থী। এ ফেল করা প্রার্থীকে ঘিরে একটা কথা না বললে নয়। গত বছর সাঈদের প্যানেল থেকে বলা হয়েছিল ও যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন না করলে সাঈদকে বসানো হবে। আর আবদুস সাদেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিরা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। আবাহনী এ প্রস্তাবনার রাজী হয়নি। এত বড় সাক্রিফাইস করার পরও ফেল করা এ কর্মকর্তা এখন সাঈদের খুব কাছের লোক হয়ে গেছে।

জানা গেছে সাঈদের খুঁটির অবস্থান মজবুত করতে এ ফেল করা কর্মকর্তা সাবেক এক ফুটবলার সঙ্গে সাঈদের পরিচয় করিয়ে দেন। যার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর খুবই ভাল সম্পর্ক। শুধু তাই নয় ক্রিকেট বোর্ডের পাপনের সবচেয়ে কাছের লোক বলে পরিচিত পরিচালকের সঙ্গে সাঈদের বৈঠকের  ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা সাঈদকে বলেছেন আপনি আমাদের ক্লাবের সঙ্গে লবিং ঠিক রাখেন তাহলে সমস্য হবে না। সাঈদের ভাবমূর্তি বাড়াতে মিথ্যার আশ্রয়ও নেওয়া হচ্ছে। কিছু দিন আগে সাঈদ এশিয়ার হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হয়েছেন। বলা হচ্ছে সাঈদ বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হলেন। অথচ এর আগে ব্রিগেডিয়ার মতিন ১৯৮৫ সালে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের নির্বাচিত সহ সভাপতি হয়েছিলেন। যিনি তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন। ২০১৯ সালে ২৯ এপ্রিল হকি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল ৫ মে। এজন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হবে ৫ মে।

 

সর্বশেষ খবর