শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

টেক্টর-ডকরেলের ব্যাটে ঝড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টেক্টর-ডকরেলের ব্যাটে ঝড়

হ্যারি টেক্টর ও জর্জ ডকরেলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে গতকাল চেমসফোর্ডে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান করে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।

টেক্টর ১১৩ বলে খেলেন ১৪০ রানের অসাধারণ ইনিংস। ডকরেল মাত্র ৪৭ বলে খেলেন ৭৪ রানের হার না মানা বিস্ফোরক ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৩২০ রান।

চেমসফোর্ডে দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টি বাধা। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়ায় নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা পর। ৫০ ওভারের খেলা নেমে আসে ৪৫ ওভারে। টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল আইরিশদের প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।

চেমসফোর্ডের মেঘলা আকাশ, উইকেটও স্যাঁতস্যাঁতে। পেস বোলারদের জন্য আদর্শ উইকেট। বাংলাদেশের পেসাররা শুরুটাও করলেন দারুণভাবে। প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়ংকর ওপেনার পল স্টারলিংকে। আরেক স্টিফেন ডোহেনিকেও সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশ। হাসানের দ্বিতীয় আঘাতে ১৬ রানেই দুই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

পাওয়ার প্লেতে আয়ারল্যান্ড ছিল খুবই ছন্নছাড়া। প্রথম ৯ ওভারে তারা ২ উইকেট হারিয়ে করেছিল মাত্র ২৬ রান। কিন্তু এরপরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। হ্যারি টেক্টর উইকেটে এসে পাল্টা আক্রমণ করেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। আয়ারল্যান্ডের রানের গতিও বাড়তে থাকে যেন বিদ্যুৎ গতিতে।

চেমসফোর্ডে গতকাল ক্যারিশম্যাটিক এক সেঞ্চুরি করেছেন টেক্টর। মাত্র ৯৩ বলে শতক পূরণ করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে টেক্টরের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। আর এই চার শতকই করেছেন শেষ ৯ ম্যাচে।গতকাল প্রথম থেকেই টেক্টর ছিলেন ভয়ংকর রূপে।

স্পিনার তাইজুল ইসলামের প্রথম ওভারেই ২০ রান নেন। ওই ওভারে তার ছক্কা দুটি ছিল দেখার মতো। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বলবার্নির সঙ্গে তার জুটিটা দারুণ জমে উঠেছিল। একসঙ্গে উইকেটের দুই পাশ থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান। হঠাৎ করে দলের রানের গতিও বেড়ে যায়।

তৃতীয় উইকেটে টেক্টর ও বলবার্নি মিলে ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। ২৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দারুণ এক ডেলিভারিতে বলবার্নিকে বোকা বানান। বল আইরিশ ক্যাপ্টেনের ব্যাট স্পর্শ করে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে জমা হয়। এরপর লরকান টাকার উইকেটে এসে মারতে শুরু করেন। রানের গতিটা সচল রাখেন। কিন্তু আইরিশ উইকেটরক্ষককে বাইশগজে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শরিফুল। কার্টিস ক্যাম্ফারকে দুই অঙ্কের কোটাতেই পৌঁছাতে দেননি তাইজুল। তবে এক পাশ থেকে উইকেট পতন হলেও আরেক পাশে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ব্যাট করছিলেন টেক্টর। রানের গতিও কমতে দেননি। ষষ্ঠ উইকেটে ডকরেলের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল আরও ভয়ঙ্কর। মাত্র ৬৮ বলে এই জুটিতে আসে ১১৫ রান।

জবাব দিতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৯৩ রানে এবং হৃদয় ৪০ রানে ব্যাট করছিলেন। শান্তর ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছিল বাংলাদেশ। এর আগে সাকিব আল হাসান ২৬, লিটন দাস ২১ ও তামিম ইকবাল ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আয়ারল্যান্ডের ক্যাম্ফার, অ্যাডেইর ও হিউম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

সর্বশেষ খবর