শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সাকিবরা এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে হারের পর এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার চাপে রয়েছে টাইগাররা। পাহাড়সমান এই চাপ নিয়ে গতকাল ঘুম ঘুম চোখে ক্যান্ডি থেকে লাহোর উড়ে গেছে সাকিব বাহিনী। আগামীকাল দুপুর সাড়ে ৩টায় রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের আফগানিস্তানের বিপক্ষে জীবন বাজির ম্যাচ খেলতে নামবেন সাকিবরা। এশিয়া কাপের সুপার ফোর খেলতে আফগানদের হারানোর বিকল্প নেই টাইগারদের। শুধু জিতলেই হবে না, অপেক্ষায় থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের দিকে। যদি ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ হেরে যায়, তাহলে তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান। তখন সমীকরণের মারপ্যাঁচে রান রেট এগিয়ে দেবে দুই দলকে। যদি আফগানিস্তান দুই ম্যাচ হেরে যায় এবং বাংলাদেশ হারায় আফগানিস্তানকে, তাহলে সুপার ফোরে খেলবেন সাকিবরা।
পাল্লেকেলেতে ১৬৪ রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করেছেন তাসকিন, শরিফুল, সাকিবরা। কিন্তু সাবলীল ছিলেন না ব্যাটাররা। সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ৪২.২ ওভারের ইনিংসে ব্যাটাররা ডট বল দেন ১৪৭টি। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন অন্যরা। ওয়ানডাউনে অধিনায়ক সাকিব করেন ৫ রান, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ১৩ রান। দুই ওপেনার তানিজদ হাসান তামিম ও মোহাম্মদ নাঈম ভিত দেন ৪ রানের। ১৪৩তম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে অভিষিক্ত তানজিদ সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। নাঈম করেন ১৬ রান। নাজমুল শান্ত ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন ১২২ বলে ৭ চারে। ছন্দহীন ব্যাটিং নিয়ে আফগানিস্তানের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলবেন সাকিবরা। আফগান বোলিংয়ের মূল অস্ত্র লেগ স্পিনার রশিদ খান, অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ও বাঁহাতি সুইং বোলার ফজলহক ফারুকি। গত মাসে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। যদিও দুই দেশের ওয়ানডে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ এগিয়ে। অবশ্য এশিয়া কাপে এগিয়ে আফগানিস্তান। চার ম্যাচের তিন ওয়ানডের দুটি জিতেছে আফগানিস্তান এবং একটি বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে ঘরের মাটিতে এশিয়া কাপে আফগানদের কাছে হেরেছিল টাইগাররা। ২০১৮ সালে লিগ পর্বে হারলেও জিতেছিল সুপার ফোরে। আফগানদের হারাতে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই শতভাগ উজাড় করে খেলতে হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেলবে দল বলেন নাজমুল শান্ত, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। পরের ম্যাচ আমরা জেতার জন্য খেলব। পরের ম্যাচ জেতার পরে বোঝা যাবে কী সমীকরণ দাঁড়াবে বা কী হবে। পরের ম্যাচ আমরা জেতার জন্যই খেলব।’
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম বাংলাদেশের পরিচিত ভেন্যু। সব মিলিয়ে লাহোরে ৫টি ম্যাচ খেলেছে। সর্বশেষ খেলে ছিল ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে। শ্রীলঙ্কার কাছে ম্যাচটি হেরেছিল ১৩১ রানে। অবশ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি টাইগাররা ৯৬ রানে জিতেছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে। ২০০৩ সালে লাহোরে প্রথম ম্যাচ খেলে হেরেছিল ৩৭ রানে। ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আরও দুটি ওয়ানডে খেলে হেরেছিল ১৫২ ও ২৩ রানে।