বঙ্গোপসাগরের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে প্রবাল, শৈবাল, কাছিমসহ ১ হাজার ৭৬ প্রজাতির জীববৈচিত্র্য রয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। বিলুপ্তপ্রায় জলপাই রঙের কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানও এই দ্বীপের বালিয়াড়ি। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কুকুর।
কারণ গভীর সমুদ্র থেকে ছুটে আসা মা কাছিম সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম দিলে তা নষ্ট করে এইসব কুকুর। এছাড়া কুকুরের কারণে মা কাছিমও বালিয়াড়িতে আসতে পারে না। তাই কাছিমসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সেখানকার বেওয়ারিশ তিন হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।
জানা যায়, দ্বীপে সাত হাজারের বেশি কুকুর রয়েছে। বেওয়ারিশ কুকুরের কারণে সৈকতে ডিম পাড়তে পারছিল না গভীর সমুদ্র থেকে ছুটে আসা মা কাছিম। কুকুরের কারণে ব্যাঙ, সাপ, পাখিসহ জীবনবৈচিত্র্য রক্ষা করা যাচ্ছিল না। এ কারণে দ্বীপে কুকুরের সংখ্যা কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। এরপর টানা ১৬ দিনে দ্বীপের উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, বাজারপাড়াসহ বেশ কিছু স্থানে ৬০১টি কুকুরকে বন্ধ্যা করা হয়। বন্ধ্যা করা সব কুকুর সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম দফায় ৬০১টি বেওয়ারিশ কুকুরকে বন্ধ্যাকরণের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় এ কর্মসূচি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে টেকনাফের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে জাহাজ চলাচল শুরু হলে তখন কুকুরের বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি আবারও শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল