শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

টি-২০তে ছোট-বড় দল নেই

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে নিজেদের প্রস্তুত করতে চেয়েছিল টাইগাররা। তবে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে নাজমুলবাহিনীর। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন ৩৪ বলে ৩৬ রান।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-২০তে ছোট-বড় দল নেই

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান ১১ ঘণ্টা। শুধু সময়ের ব্যবধান নয়, কন্ডিশনেও বিস্তর পার্থক্য। দুই দেশ এবার টি-২০ বিশ্বকাপে খেলছে। নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা খেলছেন সরাসরি। মোনাঙ্ক প্যাটেল, আতাহার আলি, স্টিভেন টেইলরদের যুক্তরাষ্ট্র খেলছে আয়োজক দেশ হিসেবে। ২০০৭ সালে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে বাংলাদেশ। অভিবাসীদের দেশ যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছে। বিশ্বকাপ শুরু ২ জুন। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে দেশ দুটি প্রস্তুতিমূলক একটি টি-২০ সিরিজ খেলেছে। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর চেয়ে লজ্জাজনক সিরিজ হার নেই। ১৪৪ রান তাড়া করে ৬ রানের হারে হতাশ দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব। তিনি বলেন, ‘হার অবশ্যই হতাশার। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি না। সত্যি বলতে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে যাব, এটা আমরা আশা করিনি। ভালো খেলার জন্য আমি কৃতিত্ব দেব যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলকে।’ প্রথম টি-২০ হেরেছে ৫ উইকেটে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ আজ। ম্যাচটি টাইগারদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। স্বাগতিকরা খেলবে প্রথমবারের মতো টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করতে। নাজমুলদের জন্য ম্যাচটি হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। যুক্তরাষ্ট্রে খেলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার হলেও সবাই পেশাদার। কেউ কেউ ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন। এমন দলের কাছে হেরে সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে টি-২০ ক্রিকেটে ছোট-বড় কোনো দল নেই। প্রতিটি দলের জন্য ম্যাচ খুবই কঠিন। দলগুলোর জন্য এত সহজ হবে না বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে অনেক চাপ। প্রতিটি দলের ক্রিকেটারদের নার্ভের ওপর চাপ থাকে। ভালো ফল পেতে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। গত ২-৩টি বিশ্বকাপ খেয়াল করলে দেখবেন, ম্যাচগুলো খুবই কঠিন হচ্ছে। কোনো দলকেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।’ টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করতে মুখিয়ে আছে নাজমুলবাহিনী। সেজন্য বিশ্বকাপের আগে মার্কিন কন্ডিশনের জন্য সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু আগে দেশটিতে গেছেন নাজমুলরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটি যদি প্রস্তুতিমূলক বিবেচনা করা হয়, তাহলে প্রস্তুতি কম হয়েছে বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘সিরিজটিকে যদি প্রস্তুতি হিসেবে দেখি, তাহলে আমি বলব কম হয়েছে। আমাদের ব্যাটাররা একদিন মাত্র ভালোমতো ব্যাটিং করতে পেরেছেন। অথচ আরও বেশি অনুশীলন করা উচিত ছিল।’        

প্রথম টি-২০ ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচ। হিউস্টনের প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে। সেটা মার্কিনিরা টপকে যায় ৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৪ রানে বেঁধে ফেলে স্বাগতিকদের। তারপরও হেরে যায় ৬ রানে। ১৩৮ রানে যখন অলআউট হন সাকিবরা, তখনো স্কোর কার্ডে ৩ বল বাকি। এই যে না পারার জন্য কোনো ক্রিকেটারকে আলাদা করে দোষারোপ করতে রাজি নন দেশসেরা অলরাউন্ডার। এটাই সম্ভবত সাকিব, মাহমুদুল্লাহদের শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ। গোল্ডেন জেনারেশনের দায়িত্ব নিতে হবে নতুনদের। সাকিব বলেন, ‘ক্রিকেট দলগত খেলা। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। সিরিজ হারের জন্য আমি আলাদা করে কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।’ ২০ দলের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে চার গ্রুপে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ছাড়া অধিকাংশ দলই টি-২০ ক্রিকেটে সমান শক্তিধর বলেন সাবেক অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘টি-২০ ক্রিকেটে সব দল সমান। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো করবে সে দল জিতবে। এখানে কোনো কিছু হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ১-২ ওভারেই খেলা ঘুরে যায় এখানে। সবসময় এখানে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে আপনাকে।’

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর