২৯ মে শেষ হয়েছে পেশাদার ফুটবলে ঘরোয়া মৌসুম। গতকাল থেকেই আবার শুরু হয়ে গেছে দলবদল। মাত্র দুই দিনের মধ্যে ফুটবলারদের ঠিকানা বেছে নেওয়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবাকই বলা যায়। আন্তর্জাতিক উইন্ডোর সঙ্গে তাল মেলাতে পেশাদার ব্যবস্থাপনা কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিগ চলাকালেই। আন্তর্জাতিক উইন্ডো মানেই অধিকাংশ দেশ একই সময় তাদের পছন্দের খেলোয়াড়দের বেছে নিতে পারবে। বাংলাদেশ এর বাইরে ছিল বলে মানসম্পন্ন বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে পারত না। প্রচুর অর্থ ব্যয় করেও ক্লাবগুলোকে আনতে হতো নিম্নমানের বিদেশিদের। আসলে ভালোমানের খেলোয়াড় পাবে কীভাবে? আন্তর্জাতিক উইন্ডো শুরু হওয়ার পর থেকে পছন্দের বিদেশিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দলে অন্য দেশের ক্লাব নিয়ে নিত।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের পরিচিত খেলোয়াড়দের দলে টানার সামর্থ্য নেই। তারপর আন্তর্জাতিক উইন্ডোর শিডিউলের দলবদল শুরু হওয়ায় অন্তত বুঝে-শুনে পছন্দের খেলোয়াড়দের আনার সুযোগ পাবে। লিগ শেষের দুই দিনের মাথায় দলবদল হলেও তা চলবে প্রায় দুই মাস। তাই এ নিয়ে বাড়তি চাপেও নেই ক্লাবগুলো। এক মৌসুম শেষ হলে তিন মাস পর দলবদল এমন সুযোগ আর নেই। বিশেষ করে পেশাদার ফুটবল যুগে। নতুন মৌসুমে শুধু ফুটবলার নয়, কোচ বদলেও চমক থাকবে। ঘর গোছাতে কিছু ক্লাব লিগ চলাকালে তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
বাফুফে সহসভাপতি ইমরুল হাসান লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পরই ঘরোয়া ফুটবলে নতুনত্ব এসেছে। দেশের ফুটবল উন্নয়ন ও হারানো জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে লিগ কমিটির লক্ষ্য ঘরোয়া আসরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে। লিগ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপের পাশাপাশি নতুন মৌসুমে জনপ্রিয় আসর সুপার কাপও ফিরছে। ২০০৯ সালে এ আসর মাঠে গড়ানোর পর ফুটবল ঘিরে উন্মাদনার দেখা মিলে। অথচ মাত্র তিন আসর হয়েই সুপার কাপ হারাতে বসেছিল। তা ফিরিয়ে আনছে বর্তমান লিগ কমিটি। শুধু তাই নয়, নতুন এক আসরের আগমন ঘটতে পারে।ইউরোপে যেমন লিগ চ্যাম্পিয়ন ও কাপ চ্যাম্পিয়ন দুই দলের টুর্নামেন্ট দিয়ে যেমন আসর শুরু হয় বাংলাদেশেও এবার তা হতে যাচ্ছে। বসুন্ধরা কিংস তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে ঢাকা মোহামেডান রানার্সআপ। এক্ষেত্রে নতুন টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হবে এ দুদলই। নাম দেওয়া হয়েছে চ্যালেঞ্জ কাপ। মান যাই থাকুক বাংলাদেশ চাচ্ছে ইউরোপকে অনুসরণ করে ঘরোয়া আসর সাজাতে।