বিসিবির ইতিহাসে ফারুক প্রথম ক্রিকেটার ও অধিনায়ক, যিনি সভাপতি হয়েছেন। সভাপতি হওয়ার পর গতকাল নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। জানিয়েছেন দেশের ক্রিকেট উন্নয়নই একমাত্র টার্গেট, ‘টার্গেট অনেক বড়। প্রথম ও প্রধান টার্গেট দেশের সম্মান বৃদ্ধি করা
নাজমুল হাসান পাপনের যেটার অভাব ছিল, সেটা শতভাগ রয়েছে ফারুক আহমেদের। ফারুক একজন আপাদমস্তক ক্রিকেটার। যিনি ক্যারিয়ারে একজন সফল ক্রিকেটার ছিলেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং দুবারের প্রধান নির্বাচক ছিলেন। ক্রিকেট তার মেধা ও মননে। আগের সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেছিলেন প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে। সেই ফারুক আহমেদ এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি। স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নাজমুল হাসানের জায়গায়। ফারুক পরিচালক নির্বাচিত হন গতকাল এবং একই দিন পরিচালক হন নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
ফারুক বিসিবির ১৫তম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জরুরি সভায় উপস্থিত ১০ পরিচালকের ভোটে। বিসিবির ইতিহাসে ফারুক প্রথম ক্রিকেটার ও অধিনায়ক, যিনি সভাপতি হয়েছেন। সভাপতি হওয়ার পর গতকাল নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। জানিয়েছেন দেশের ক্রিকেট উন্নয়নই একমাত্র টার্গেট, ‘টার্গেট অনেক বড়। প্রথম ও প্রধান টার্গেট দেশের সম্মান বৃদ্ধি করা ও মুখ উজ্জ্বল করা। দলকে একটা জায়গায় দেখতে চাই। তাই অনেক জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম ও প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
২০০৩ সালে প্রথমবার জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন। প্রথমবার পাকা জহুরির মতো জাতীয় দলে সুযোগ দেন দেশের তিন সেরা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। তিনজন এখনো দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন। বোর্ডের কারণে তামিম অবশ্য দলের বাইরে। নতুন সভাপতি চাইছেন দেশ সেরা ওপেনার তামিমকে, ‘আমি মনে করি আরও দু-তিন বছর দেশকে সার্ভিস দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তামিম।’ ফারুক দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেন।
নতুন সভাপতি বরাবরই টাইগার কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহের বিরোধী অবস্থানের লোক। দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা বলেছেন, ‘চন্ডিকা হাতুরাসিংহের সঙ্গে চুক্তিটা কী, সেটা আমি ঠিক জানি না। আমি আগে যা বলেছি, সেটা থেকে সরে যাইনি। এখন আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জিনিস দেখতে হবে। কীভাবে কী করা দরকার, তার চেয়ে ভালো কাউকে পাই কি না বা কাছাকাছি যারা ভালো করতে পারবে, এটা দেখব। তার পর কথা বলব। আমি আসলে ওই স্ট্যান্ড থেকে সরিনি।’
কানাডার গ্লোবাল টি-২০ ক্রিকেট খেলে দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু তিনি দেশে না ফিরে সরাসরি দলের সঙ্গে পাকিস্তানে যোগ দেন। দেশসেরা অলরাউন্ডারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে পলিসি কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলাপ করব। সাকিব এখন যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থা সে চালিয়ে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করব। আমাদের এখন দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে। তার পর কী হবে, সেটা তখন বোর্ডের একটা পলিসির ব্যাপার হবে।’ ফলে সাকিব এখন খেলার মাঝপথে কোনোধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে পারবেন না।