জ্যামাইকার সাবিনা পার্কের উইকেট ঘাস আচ্ছাদিত। পেসাররা বাড়তি সহায়তা পেয়ে থাকেন। এবারও তার অন্যথায় ছিল না। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা দাপট দেখিয়েছেন গতি ও সুইংয়ের মিশেলে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাদের মাঝে ঘূর্ণির মায়ায় ক্যারিবীয় ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ১০১ রানে টেস্ট জয়ে শুধু বোলাররা অবদান রাখেননি, ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন ব্যাটাররাও। বিশেষ করে ওপেনার সাদমান ইসলাম দুই ইনিংসেই প্রত্যয়ী ব্যাটিং করেন। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ধারাবাহিক ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষ ক্যারিবীয়দের পাল্টা আক্রমণে খাদের কিনারায় ঠেলে দেন জাকের আলি অনীক। ওয়ানডে স্টাইলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৬ বলে ৯১ রান করেন জাকের। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কঠিন পরিস্থিতি সামলে ক্রিকেটাররা লড়াকু মেজাজে খেলেছেন বলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। জ্যামাইকায় তারা প্রমাণ করেছেন কঠিন পরিস্থিতিতেও লড়াইয়ের মানসিকতা। জয়ের জন্য ইতিবাচক ছিল শুরু থেকেই। জিতে প্রমাণ করেছেন, তারা পারেন।’ প্রথম ইনিংসে নাহিদ নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল নেন ৫ উইকেট। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের ১৩টি নেন পেসাররা এবং বাকি ৭টি স্পিনাররা। বোলারদের পারফরম্যান্স নজরকাড়া হলেও ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। ব্যাটারদের কৃতিত্ব দিতে কার্পণ্য করেননি নাজমুল, ‘খালি চোখে বোলারদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে। কিন্তু ব্যাটারদের কোনোভাবেই আলাদা করে দেখা যাবে না। ব্যাটিং করতে কষ্ট, এমন প্রতিকূল উইকেটে ব্যাটাররা দারুণ ব্যাটিং করেছেন।
তারা প্রতিরোধ গড়েছেন। পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন। সবার ভিতরেই জয়ের একটা ইতিবাচক মানসিকতা ছিল। অবশ্য একটা কথা মনে রাখতে হবে, এই জয় ধরে রাখতে হবে। এজন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
টেস্ট সিরিজ শেষ। ৮, ১০ ও ১২ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে সেন্ট কিটসে।