প্রথম ওয়ানডেতে শোচনীয় হার - ‘আমরা উন্নতি করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি-পরিবেশ, সংস্কৃতি সব মিলিয়ে। সবাই পাশে থাকুন, যেন খারাপ সময় দ্রুত কেটে যায়।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরিচিত টার্ম ‘পঞ্চপাণ্ডব’-মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাঁদের নিয়ে সৌম্য, লিটন, তাসকিন ও মুস্তাফিজরা দারুণ সময় পার করছিলেন। মাটি খুঁজে পেয়েছিল টাইগার স্কোয়াড। কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসরে আবার আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে ক্রিকেট। হতাশ হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তেমনটাই দেখা গেল নতুনদের যাত্রা। লিটন-মিরাজ-শান্তদের কবে উন্নতি হবে? কবে মানসিকভাবে টিকে থাকার সামর্থ্য পেতে সক্ষম হবেন, এটাই এখন ক্রিকেটপাড়ার প্রশ্ন। কবে ক্রিকেটে ফিরবে ভোরের আলো? তবে দ্রুতই ট্রানজিশন পিরিয়ড কাটিয়ে মানসিকভাবে শক্ত হয়ে ফেরার কথা জানিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ক্রিকেটপ্রেমীরাও চান দ্রুতই এখান থেকে বের হতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও নেই। নতুনদেরই ধরতে হবে হাল।
২০ বছরে ৩৩১ ওয়ানডে খেলার পর পঞ্চপা ব ছাড়া প্রথমবার সিরিজ খেলতে নামে লঙ্কানদের বিপক্ষে। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বে দারুণ শুরু করেছিলেন তাসকিন-শান্তরা। চারিথ আশালাঙ্কার সেঞ্চুরির পরও তাসকিন ও তানজিম হাসান সাকিবের বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৪ রানেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ১০০ রান তোলেন ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। জয় ছিল টাইগারদের শুধুই সময়ের ব্যাপার। অথচ ৭৭ রানে ম্যাচ হেরেছেন মিরাজরা। শেষ ৯ উইকেট নেই ৬৭ রানে। যেখানে একাই ৫১ রানের ইনিংস খেলেন জাকের আলী। তবে ম্যাচ হারলেও তানজিদ ও জাকেরের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি উইকেট খুব বেশি কঠিন ছিল। অথচ মিডল অর্ডার ব্যাটাররা গড়লেন রেকর্ড। ২৭ বলের মধ্যে ৫ রানে নেই ৭ উইকেট! ১০০/১ থেকে দেখতে না দেখতেই বাংলাদেশ ১০৫/৮। ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট হারানোর রেকর্ড এটিই। এর আগে ২০০৮ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ১২৪/৩ থেকে অলআউট হয়েছিল ১২৭ রানে। ৩ রানে হারিয়েছিল ৭ উইকেট।
তবে সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে দ্রুতই ট্রানজিশন পিরিয়ড কাটিয়ে ভালো ক্রিকেটের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, ‘আমাদের ট্রানজিশন পিরিয়ড একটু বেশিই সময় নিচ্ছে। আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। আর কোনো উপায় নেই। সবাই অনেক কষ্ট করছে।’ তাসকিন আরও বলেন, ‘আমরা এগোচ্ছি। হয়তো আমাদের বোলিং-ব্যাটিং সব মিলিয়ে কিছুটা গেম অ্যাওয়ারনেস বা মানসিকতার দিক থেকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যান্য দলের থেকে, বিশেষ করে ভালো দলের থেকে। এ জায়গাগুলোয় আমরা উন্নতি করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি-পরিবেশ, সংস্কৃতি সব মিলিয়ে। সবাই পাশে থাকুন, যেন খারাপ সময় দ্রুত কেটে যায়।’