টি-২০তে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছন্দে ফিরেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি হেরেছিল। পরের দুটি জিতে সিরিজ নিজেদের করে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জেতায় ফুরফুরে মেজাজে আছে বাংলাদেশ। তাই দল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। মিরপুরেও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে এ রেশ ধরে রাখতে চান লিটনরা। তা ছাড়া ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বরাবরই শক্তিশালী দল। তবে মিরপুর সিরিজকে দুই দলের অধিনায়কই চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন। বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। কেননা দলের অন্তত ৯ ক্রিকেটার কোনো না কোনো সময়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছেন। এ ছাড়া মিরপুরের উইকেটেও নিজেদের খেলার ধরন না পাল্টিয়ে আগ্রাসি ক্রিকেট খেলতে চায় তার দল।
চলতি বছর পাকিস্তানের মাঠে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় বাংলাদেশকে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে আজ মিরপুরে নামবে পাকিস্তান। গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দুই দলের অধিনায়ক লিটন দাস ও সালমান আগা ট্রফি উন্মোচন করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা বলেন, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং একটা সফর। বাংলাদেশ যে কোনো মাঠে, যে কোনো দেশে সবসময়ই ভালো দল। আর যখন তারা ঘরের মাঠে খেলে, তখন আরও বেশি শক্তিশালী। আমরা জানি আমাদের কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে এবং আমরা সেসবের জন্য প্রস্তুত। এখানে খেলতে এসে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।’ এ ছাড়া আগ্রাসি ক্রিকেট খেলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এ কন্ডিশনে আমাদের আগ্রাসি খেলতে হয়, তাহলে আমরা সেভাবেই খেলব।’
তবে বিপিএল খেলা ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের জন্য বাড়তি শক্তি হতে পারেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস, ‘তাদের প্লাস পয়েন্ট হলো দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার বিপিএলে খেলেছেন। তারা মিরপুরের কন্ডিশন ভালো করেই জানেন।’ তাদের ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে বিপিএল খেলেছেন এমন ৯ জন আছেন। খুলনার হয়ে বিপিএল খেলা ফখর জামান তাদের মাঝে সবচেয়ে বড় নাম। এ ছাড়া মিরপুর মাতিয়ে গেছেন সাইম আইয়ুব, ফাহিম আশরাফ, হোসেন তালাত, খুশদিল শাহ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। বিপিএলের শেষ আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন ফাহিম। সালমান আগা বলেন, ‘বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ইনপুট দিয়েছে, আমরা সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের দেশে মিরপুরের মতো উইকেট বানিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
পরিসংখ্যানে সিরিজে ফেবারিট পাকিস্তান। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের পর থেকে পাকিস্তানকে আর হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২ ম্যাচে টাইগারদের জয় মাত্র ৩টি। তবে এবার সিরিজ মিরপুরে হওয়ায় সতর্ক পাকিস্তান।