দাপট দেখিয়ে মৌসুম শুরু করল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। আর এ দিন দলের গোলমেশিন ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনকেও দেখা গেল চিরচেনা রূপে। আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বায়ার্নের আক্রমণের মূল ভরসা। শনিবার ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুন্দেসলিগায় মৌসুমের প্রথম ম্যাচে বাভারিয়ানদের প্রতিপক্ষ ছিল আরবি লাইপজিগ। প্রথমার্ধে দল ৩ গোল পেলেও জালের দেখা না পেয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন কেইন, ‘নিজেকে তখন বলছিলাম স্কোরশিটে আমার নাম নেই কেন? আমার নাম সেখানে তুলতেই হবে।’ দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ১৪ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করেন গত মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতা কেইন। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আরবি লাইপজিগকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করল বায়ার্ন।
ম্যাচ শেষে কোনো আক্ষেপ-অভিযোগের কারণ নেই জানিয়ে কেইন বলেন, ‘প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে দাপুটে পারফরম্যান্সে একটি বার্তা দেওয়ার তাড়না ছিল আমাদের এবং তা-ই করেছি। লাইপজিগ ভালো দল, তবে আমরা সব দিক থেকেই ছিলাম চূড়ায় এবং প্রয়োজনের সময় ছিলাম নিখুঁত।’ দল নিয়ে মৌসুমের শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও জয় দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দৃঢ়প্রত্যয় দেখালেন ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা। কেইনের হ্যাটট্রিক ছাড়াও ফরাসি মিডফিল্ডার মাইকেল ওলিসে করেছেন ২টি গোল, আর লিভারপুল থেকে যোগ দেওয়া লুইস দিয়াজও অভিষেক ম্যাচে করেন ১টি গোল। কেইনের ২টি গোলে অ্যাসিস্ট করেন এই কলম্বিয়ান উইঙ্গার। নতুন দিয়াজের সঙ্গে তাৎক্ষণিক দারুণ সংযোগের কথাও স্বীকার করেছেন কেইন। ভোলেননি ওলিসকে স্মরণ করতে।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিলেন বাভারিয়ানরা। ২৭ মিনিটে ওলিসে প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। পরে দিয়াজ ব্যবধান বাড়ান। বিরতির ঠিক আগে আবারও গোল করেন ওলিসে, ফলে প্রথমার্ধ শেষে বায়ার্নের লিড ৩-০। দ্বিতীয়ার্ধে গোলমেশিন চালু করেন কেইন। ৬৪ থেকে ৭৭ মিনিটের মধ্যেই টানা ৩ গোল করে রেকর্ডবুকে নাম লেখান তিনি। মৌসুম শুরুর ম্যাচে এত দ্রুত হ্যাটট্রিক এর আগে দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে, যখন শালকের কিংবদন্তি ক্লাউস ফিশার ১২ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন হ্যানোভারের বিপক্ষে। ২০২৩ সালে টটেনহ্যাম থেকে বায়ার্নে যোগ দেওয়া কেইনের জন্য এটি নবম হ্যাটট্রিক। শেষ মুহূর্তে মাঠ ছাড়ার আগে দর্শকের করতালিতে সিক্ত হন তিনি। তাঁর শেষ গোলেই ম্যাচে ৬-০ ব্যবধানের বিশাল জয়ে মৌসুম শুরু করে বায়ার্ন মিউনিখ।