স্নায়ুক্ষরণের ম্যাচটিতে কী ছিল না? একাধিক রেকর্ড হয়েছে। উত্তেজনার চরমে ওঠা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ‘টাই’ হয়েছে। ফল হয়েছে সুপার ওভারে। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্পিন বোলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে ম্যাচটিতে। আবার একই সঙ্গে এক ম্যাচে স্পিনারদের সবচেয়ে বেশি ওভার করার রেকর্ডও হয়েছে। এত এত রেকর্ডের ম্যাচটি ভুল পরিকল্পনায় হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে মিরপুরে কালো মাটির স্পিন উইকেট বানিয়েছে বিসিবি। প্রথম ওয়ানডে ৭৪ রানে জিতলেও দ্বিতীয়টি ‘টাই’ করে হেরে যায় সুপার ওভারে। সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে আজ। দুই দল একটি করে ম্যাচ জেতায় সিরিজে এখন সমতা। আজকের ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। অলিখিত ফাইনাল। মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিততে টাইগারদের জয়ের বিকল্প নেই। অলিখিত ফাইনাল ম্যাচকে পেছনে ফেলে এখনো আলোচনায় সুপার ওভার। সুপার ওভারে হারের কারণ কাটাছেড়ায় ব্যস্ত সবাই। সুপার ওভার আলোচনায় থাকলেও দুই দলের পরিকল্পনার পুরোটাজুড়ে এখন কালো মাটির উইকেট। যেখানে বল ঘুরছে লাটিমের মতো। স্পিন সহায়ক উইকেটে আজ কি নতুন কোনো রেকর্ড হবে?
মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে বল ঘুরছে লাটিমের মতো। সিরিজে ফিরতে মরিয়া সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ স্পিনার খেলায় ম্যাচে। পাঁচ স্পিনার বোলিং করেন ৫০ ওভার। ৫৪ বছরের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে যা প্রথম। এর আগে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৪৪ ওভার স্পিনারদের বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার। এক ম্যাচেও স্পিনারদের সবচেয়ে বেশি ৯২ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ডও হয়েছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। ম্যাচে প্রথম ব্যাটিংয়ে ২১৩ রান করে বাংলাদেশ। এ রানটি করে মূলত শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ১৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ৩৯ রানে ভর করে। ২১৪ রানের টার্গেটে শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান। পেরি পুল শট খেলেন সাইফ হাসানকে। বল ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ ওঠে। কিন্তু টাইগার উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। ২ রান নিয়ে পেরি ম্যাচ টাই করেন। বাংলাদেশের ৩৯ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে এটাই প্রথম ‘টাই’। সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে ১০ রান করে। ১১ রানের টার্গেটে মিরাজ বাহিনী ৯ রান তুলে হেরে যায়। অথচ মিরাজ বাহিনী সুপার ওভারে ব্যাটিং করেছেন ৯ বল। ক্যারিবীয়রা ব্যাটিং করেছে ৬ বল।