১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ খেলেছিল। ১৮ নভেম্বর হামজা দেওয়ান চৌধুরীরা ঢাকায় ফিরতি লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে। ৩৫ দিন পর জাতীয় দল আবার মাঠে নামবে। হামজা, সামিত, ফাহমিদুল ও জায়ানরা হংকংয়ে খেলে ফিরে গেছেন। ভারত ম্যাচে হয়তো সপ্তাহখানেক আগে ঢাকায় এসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন তারা। তখন আবার নতুন করে দল ঘোষণা করবেন হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে জাতীয় দলের অধিকাংশ ফুটবলাররা ম্যাচে বা অনুশীলনে থাকবেন। যা জাতীয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন হচ্ছে ক্যাম্পই যখন নেই। তখন জাতীয় দলের ফুটবলাররা প্রস্তুতি নেবেন কীভাবে? এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে বসুন্ধরা কিংস এখন কুয়েতে। দেশের ফুটবলে একমাত্র ক্লাব কিংসই টানা ছয়বার এশিয়ান ক্লাব আসরে খেলবে। চ্যালেঞ্জ লিগের পাশাপাশি জাতীয় দলের প্রস্তুতিও অনেকটা সেরে ফেলবে রাকিবরা। কেননা কিংসের সর্বোচ্চ ১০ ফুটবলার জাতীয় দলের। ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াডে যদি রদবদল হয়ও কিংসের খেলোয়াড়ই বেশি থাকবে এ নিয়ে সংশয় নেই। এখানে পারফরম্যান্স বলে যত কথা। চ্যালেঞ্জ লিগে কিংস মুখোমুখি হবে এশিয়ার তিন শক্তিশালী ক্লাব কুয়েত এসসি, ওমান আলসিব ও লেবানন আল আনসারের বিপক্ষে। জয়-পরাজয় যায় হোক, কিংস ম্যাচের আড়ালে ভারত ম্যাচের জন্য নিজেদের ঝালাই করেও নিতে পারবেন তপুরা।
হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে বাংলাদেশে চূড়ান্ত দলে বসুন্ধরা কিংসের মেহেদী হাসান শ্রাবণ, তপু বর্মণ, তাজউদ্দিন, সাদউদ্দিন, মো. হৃদয়, সোহেল রানা (বড়), সোহেল রানা (ছোট), রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও শাহারিয়ার হোসেন স্কোয়াডে ছিলেন। তারিক কাজীও ছিলেন তবে কিছু দিন আগে তিনি কিংসে না থাকার ঘোষণা দেন সামাজিক মাধ্যমে। ভারতের বিপক্ষে তিনি যদি খেলেন বা সুযোগ পান তা কিংসের খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচ্য হবে না। ১০ জনের মধ্যে সাতজনই ছিলেন সেরা একাদশে। অর্থাৎ শুরু থেকেই খেলেছেন। পারফরম্যান্সের বিচারে ভারতের বিপক্ষেও এদের বেস্ট ইলেভেনে থাকার সম্ভাবনা বেশি। ইনজুরিতে থাকলে তা হবে ভিন্ন কথা। জাতীয় দলে ২৩ জনের মধ্যে ১০ ফুটবলারই কিংসের। হংকংয়ের বিপক্ষে কিউবা মিচেলকে না রাখায় বাফুফেকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। এ ১০ ফুটবলারই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলবেন। সে ক্ষেত্রে কুয়েতে এএফসি কাপের পাশাপাশি বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে তপুদের ভারত ম্যাচের প্রস্তুতিটাও ভালোভাবেই হবে। প্রখ্যাত ফুটবলার ও বিশ্লেষক গোলাম সারোয়ার টিপু বলেন, ‘ভারত ম্যাচের আগে কিংসের চ্যালেঞ্জ লিগ খেলা উপকৃত হবে বাংলাদেশ। এক সময়ে জাতীয় দলে মোহামেডান ও আবাহনীর কমপক্ষে আটজন করে ফুটবলার সুযোগ পেতেন। আমি যে বছর জাতীয় দলের কোচ ছিলাম তখন মোহামেডানেরও প্রশিক্ষক ছিলাম। কোন টুর্নামেন্ট আমার মনে নেই তবে জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে মোহামেডানের ৯ ও আবাহনীর সাত ফুটবলার ছিল। মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ই জাতীয় দলে খেলবেন। স্বাভাবিকভাবে এখন কিংসের সংখ্যাটা বেশি হবে। যাক যেটা বলছিলাম ভারতের বিপক্ষে খেলার আগে কিংসের চ্যালেঞ্জ লিগটা হবে ভারতের বিপক্ষে শক্তির বড় টনিক’। কিংসের কোচিং স্টাফরাও মেধাবী। সবমিলিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগে খেলবে কিংস আর উপকৃত হবে বাংলাদেশ।’