ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ছড়াছড়ি হলেও আন্তর্জাতিক আসরে বসুন্ধরা কিংস বড্ড ম্লান। এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে এএফসি কাপ ও চ্যালেঞ্জ লিগ মিলিয়ে কিংস টানা সাত আসর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। কোনো সময়ে তারা চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারেনি। এবার ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা কিংস ভালো কিছু উপহার দেবে। আর ভালো মানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকা। সত্যি বলতে কী, প্রতিপক্ষ তিন ক্লাব শক্তিশালী হলেও বসুন্ধরা কিংস যে মানের তারকানির্ভর দল, তাতে তাদেরও ভালো করার সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ওমান আল সিবের কাছে হেরে রাস্তা কঠিন করে ফেলেছে। জেতা ম্যাচে ২-৩ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছেন তপু বর্মণরা। আল-আনসারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সুবিধাই করতে পারেনি। ০-৩ গোলে হেরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়েছে কিংসের। এখন কুয়েত এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
প্রথম ম্যাচে হারার পর সমীকরণটা দাঁড়িয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের আশা টিকিয়ে রাখতে জয় ছাড়া কোনো পথ নেই বসুন্ধরা কিংসের। প্রতিপক্ষ লেবানন আল আনসারের অবস্থাও ছিল একই। আশা জাগিয়ে রাখতে কিংসকে হারাতে হবে। উদ্বোধনী ম্যাচে তারা কুয়েত এসসির কাছে ২-৩ গোলে হার মানে। দুই দলের কাছে ম্যাচটি ছিল অলিখিত ফাইনাল। মাঠে নামার আগে অধিনায়ক তপু বর্মণও তেমনটি বলেছিলেন। বসুন্ধরা কিংস খেলছে বলেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ঘিরে বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে। সব আগ্রহ এখন শেষ হয়ে গেল।
এএফসি কাপ ফুটবলে আন্তত তিন আসরে তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে কিংস। শেষ ম্যাচে যেখানে ড্র করলেই চূড়ান্ত পর্বে চলে যায়, সেখানে বিদায় নিয়েছে। আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে ৮০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে এগিয়ে থাকার পরও হেরে গিয়ে সবই শেষ। সবকিছু মিলিয়ে দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছে না কিংসের। জিততেই হবে, এমন কঠিন ম্যাচে মুখোমুখি তাই সমর্থকদের টেনশনের শেষ ছিল না। শক্তির দিক দিয়ে আবার কিংস ও আল আনসার দুই দলই সমান। লেবানন লিগে আল আনসার ১৫ বারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংস আবার অভিষেক আসর থেকে টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন।
দুই সেরার লড়াইয়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি তপু বর্মণরা। আল-আনসারের পক্ষে আবুবকর ৪৩ মিনিটে গোলের সূচনা করেন। হিসাম হোসেন পেনাল্টি থেকে ৭৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৯৩ মিনিটে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মোহাম্মদ হাবস।
কুয়েত এসসির বিপক্ষে ম্যাচ জিতলে তা হবে কিংসের বড় সান্ত্বনা।