পেশাদার ফুটবল লিগ কমিটির ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আগের শিডিউল অনুযায়ী গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের খেলা ছিল শেখ জামালের বিপক্ষে। কিন্তু ম্যাচ আর মাঠে গড়াতে পারেনি। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাসেলের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও ফুটবল কোচ মারুফ। আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার কমিটি কাউকে না জানিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি খেলা স্থগিত ঘোষণা করে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তারা শেখ রাসেলকে ম্যাচ হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেয়। আলম বলেন, কমিটি নিজেরা বৈঠক করে কোনোভাবেই লিগ স্থগিত করতে পারে না। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি সেলিম থাকার পরও তাকে কিছু জানানো হয়নি। এর পেছনে অবশ্যই কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। তিনি বেশ উত্তেজিত কণ্ঠেই বলেন, এমনিতেই লিগ অনেকবার পিছিয়েছে। এতে ক্লাবগুলোর ব্যয় বেড়েই চলেছে। শেখ রাসেল ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবাহনীর বিপক্ষে লিগের শেষ ম্যাচ খেলে। এত দিনে দ্বিতীয় পর্বও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু শেখ জামাল আইএফ শিল্ডে অংশ নেওয়ায় তাদের খেলাগুলো পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই, একটা দল বাইরে গেলে এমন হতেই পারে। কিন্তু এখন কেন লিগ পেছানো হচ্ছে?
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন। তাই মাঠ ও নিরাপত্তার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবারের ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আলম বলেন, ভালো কথা, বঙ্গবন্ধুতে না হয় ম্যাচ করা যাবে না। আমরা তো কমলাপুর স্টেডিয়ামে খেলতে চেয়েছিলাম। শেখ জামাল রাজি না থাকায় লিগ কমিটি ম্যাচের আয়োজন করেনি। এতেই প্রমাণ মেলে লিগ কমিটি বিশেষ দলের পক্ষে রয়েছে। এ অবস্থায় লিগ কমিটি অথর্ব বা মেরুদণ্ডহীন মন্তব্য করে আলম বলেন, এ কমিটির কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তিনি বলেন, ম্যাচ না থাকলেও প্রতিবাদ হিসেবে মাঠে আমরা এসেছি। কোচ মারুফ স্বচ্ছ লিগ পরিচালনার জন্য পুরো লিগ কমিটির পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, যারা একটি দলের পক্ষে কাজ করে তাদের কাছে ফুটবলে মঙ্গলময় কিছু আশা করা যায় না।