আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ ওভারে ৯ রান দিয়েছিলেন। গতকাল শুরুটা হলো বাজেভাবে। প্রথম ওভারেই তিন তিনটা ওয়াইড দিলেন। সবমিলিয়ে ৮ রান। এক ওভার শেষেই খরুচে বোলার হিসেবে আল-আমিনকে বিশ্রাম দেন অধিনায়ক মুশফিক। ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে মাশরাফি-সাকিব-ফরহাদদের বোলিং থেকে প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন আল-আমিন! অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মতোই সপ্তম ওভারে অধিনায়ক মুশফিক আবারও বল তুলে দেন আল-আমিনের হাতে। এবারে প্রথম বলেই উইকেট! তার গুড লেংথের বল শর্ট লেগে ক্যাচ দেন সাগর পুন। সহজেই বল লুফে নেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে নেপালি অধিনায়ক খারকা রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। তৃতীয় বলে জ্ঞানেন্দ্র মাল্লার উইকেট! মূলত নেপালি ইনিংসের সব সম্ভাবনা সেখানেই শেষ করে দেন আল-আমিন।
এভাবে ফিরে আসার রহস্যটা কি? ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে আল-আমিন জানালেন, ‘প্রথম ওভারটা করতে গিয়ে একটু অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। কুয়াশা ছিল অনেক। তবে এই ওভারটা শেষ করে নিজেকে বলেছিলাম, আমি পারব।’ আল- আমিন সত্যিই পেরেছেন। তার প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ পেয়েছে মাশরাফির যোগ্য সঙ্গী। বাংলাদেশ গতকাল জয় পেয়েছে সত্যি। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেমন নির্ভীকচিত্তে খেলেছিল টাইগাররা, গতকাল কি কিছুটা কমতি ছিল! নেপালকে কি কিছুটা সহজ দৃষ্টিতে দেখেছিলেন মুশফিকরা! ‘নাহ্, মোটেও না। বরং এটা আমাদের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। আমাদের সেরা খেলাটা খেলার জন্যই মাঠে নেমেছিলাম।’ তবে যে রানটা একটু বেশি হয়ে গেল! ‘কে বলে বেশি? ১২০ বলে ১২৬ রান মোটেও বেশি কিছু নয়। আর নেপাল খুবই ডিফেন্সিভ খেলা খেলেছে। তাদের লক্ষ্যই ছিল, সম্ভবত ২০ ওভার ব্যাটিং করা।’ পার্থক্যটা বিশাল। বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোভাবেই তুলনীয় হতে পারে না নেপাল। কিন্তু তাই বলে তাদেরকে অবহেলা করারও কিছু নেই। গতকাল তাদের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ আল-আমিনও। ‘নেপাল খুবই ভালো খেলেছে। আফগানিস্তান কিংবা হংকংয়ের তুলনায় তারা নিঃসন্দেহে নিজেদেরকে ভালো দল প্রমাণ করেছে।’ আল-আমিনের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল না। মাশরাফি, সাকিব, রাজ্জাকদের মতো বোলারদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১২৬ রান সংগ্রহই নেপালের যোগ্যতার কথা ঘোষণা করছে। ম্যাচের আগেরদিন উইকেটটা ছিল সবুজে ভরা। গ্রাসি উইকেট দেখে আঁতকে উঠেছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। গতকাল উইকেট উন্মোচনের পর দেখা গেল কিছুটা ন্যাড়া হয়েছে। তারপরও গ্রাসিই ছিল উইকেট। স্পিনারদের জন্য কিছুই ছিল না। নেপালের ব্যাটিং সফলতার প্রধান কারণ, উইকেট। আল-আমিন বলছেন, ‘সাকিব ও রাজ্জাক ভাইদেরও সংগ্রাম করতে হয়েছে আজ (গতকাল)।’ এর প্রমাণ, স্পিনাররা একটা উইকেটও শিকার করতে পারেননি। গতকালের ম্যাচে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক ছিল, জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যে মুভমেন্টা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। সফল তিনি। সফল বাংলাদেশ।
শিরোনাম
- বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
- টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান
- অক্টোবরে এলো ৩১ হাজার ২১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
- ডিগ্রী পাস ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
- ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২
- একটি গোষ্ঠী নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে : দুলু
- সুশাসন চাইলে সৎ ও যোগ্য লোকের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- ১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি
- সিলেট সীমান্তে বিএসএফ’র অনুপ্রবেশ, স্থানীয়দের প্রতিরোধ
- মহাসড়কে বাইক প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল তরুণের
- পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
- সাতক্ষীরায় পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে দুই মাসের কারাদণ্ড
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
- রূপগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ শোভাযাত্রা
- জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা
- রং মেশানো ডাল আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- গাজীপুরে রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
- সিলেটের শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
- খিলগাঁওয়ে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার
সেই আল-আমিনই ম্যাচ সেরা
ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর