সুপার টেনে উঠতে হলে অবশ্যই জিততে হবে, এমন চাপ নিয়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মোকাবিলা করতে ফিল্ডিং নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খুররম খানের দল করেছিল ৯ উইকেটে ১১৬ রান। ছোট লক্ষ্য হলেও ৩৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ব্রেন্ডন টেলরের দল। অবশ্য এলটন চিগুম্বুরা ঝড়ে চাপ কাটিয়ে জয় পায় তারা।
প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে শেষ বলে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও শেষ বলের উত্তেজনায় জয় পায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
এদিন শুরুতেই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিল তারা। ৮ রানে দুই উইকেট হারায় আমিরাত। তেন্দাই চাতারা তার প্রথম ওভারেই সাইমন আনোয়ারকে টেলরের ক্যাচ বানান। এক বল বিরতিতে রান আউট ফাইজান আসিফ।
এরপর স্বপ্নীল পাতিল ও খুররম খানের ৫৮ রানের জুটিতে হাল ধরেছিল আমিরাত। এই জুটি ভাঙতেই আবারও ব্যাটিং ধসের মুখোমুখি তারা।
শন উইলিয়ামসের বলে এলটন চিগুম্বুরার তালুবন্দি হয়ে খুররম আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ৬৬ থেকে ৭৫ রানের মধ্যে চারটি উইকেট হারায় আমিরাত। আমজাদ আলীকে আউট করে সাজঘরে ফেরান উইলিয়ামস। চারটি রান করে রান আউট রোহান মোস্তফা।
শেষদিকে স্বদীপ সিলভার হার না মানা ১৩ ও কামরান শাজাদের ২১ রানে দলীয় শতকে পৌঁছায় আমিরাত।
শন উইলিয়ামস তিনটি। চাতারা ও সিকান্দার দুটি করে উইকেট পান।
লক্ষ্যে নেমে মানজুলা গুরুজের জোড়া আঘাতে টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের। গত দুই ম্যাচের ধারাবাহিক পারফরমার টেলর এদিন ১৭ রানে আউট হন। দুই রানে মাসাকাদজা ও খালি হাতে উইলিয়ামস সাজঘরে ফিরেছেন। আহমেদ রাজার বলে সিকান্দার ৯ রানে আউট হন।
চিগুম্বুরার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়ে ভুসি সিবান্দাও মাঠ ছাড়েন। তবে টিমিসেন মারুমাকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান চিগুম্বুরা। ৫১ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটের এই জয়ে চিগুম্বুরা ২১ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তিনটি চারে ২২ রানে তার সঙ্গী মারুমা।
জিম্বাবুয়ে দল: হ্যামিলটন মাসাকাদজা, সিকান্দার রাজা, ব্রেন্ডন টেলর, এলটন চিগুম্বুরা, শন উইলিয়ামস, ভুসি সিবান্দা, টিমিসেন মারুমা, প্রসপার উতসেয়া, তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, তেন্দাই চাতারা ও নাতসাই মুশাঙ্গুই।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: আমজাদ আলী, ফাইজান আসিফ, খুররম খান, সুমিত পাতিল, সাইমন আনোয়ার, আমজাদ জাভেদ, রোহাম মোস্তফা, স্বদীপ সিলভা, আহমেদ রেজা, কামরান শাজাদ ও মানজুলা গুরুজে।