বিশ্বকাপ জয়ের পর কেমন লাগছে?
লিনা ম্যাগল : সত্যি বলতে কি, বিশ্বকাপ জয়ের পর আমি ভাষাহীন হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মুখ থেকে কোনো কথাই বের হচ্ছিল না। শুধু কেমন যেন একটা অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করছিল। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দটা যে এমন তা আগে কখনোই বুঝিনি।
আপনি কি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, এবার আপনারাই বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছেন?
লিনা ম্যাগল : সত্যি কথা বলতে কি, বিশ্বকাপ শুরুর আগে ট্রফি জয়ের কথা কল্পনাতেও ছিল না। কারণ এবার আমাদের বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার ইনজুরিতে পড়েছিল। আমি শুধু চেয়েছিলাম, নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে সম্মানজনক একটা ফল। গ্রুপ পর্ব পাওয়া হওয়াটাই প্রথম টার্গেট ছিল। অথচ আমরা কোথায় পৌঁছে গেলাম।
শিরোপা জয়ের পেছনে কি কোনো রহস্য আছে?
লিনা ম্যাগল : ব্রাজিলে জার্মান দল আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। বিশেষ করে, আমরা দেখেছি, জার্মানিতে একক কোনো মহাতারকা ছিল না। অথচ মেসির মতো বিশ্বসেরা তারকার দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে জার্মানি শিরোপা জিতেছে। এখান থেকেই আমরা একটা বার্তা পেয়েছিলাম। ফুটবল তো একার খেলা নয়। এখানে বেশি প্রয়োজন দলীয় সমন্বয়। আর এ বিষয়টার ওপর আমরা বেশি নজর দিয়েছি। সাফল্য লাভের বড় কারণও এটি।
কখন বুঝতে পেরেছিলেন এবারের বিশ্বকাপটা আপনারা জিততে যাচ্ছেন?
লিনা ম্যাগল : গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার পরই আমার এমনটা মনে হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। এক ম্যাচেও হারিনি। শুধু উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে আমরা এগিয়ে থেকেও ড্র করেছিলাম। তবে ওই ম্যাচে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। তারপর তো নক আউট পর্বে কানাডা, ফ্রান্স ও নাইজিয়ার বিরুদ্ধে জয়। তবে ফাইনাল ম্যাচটাকে অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ে যখন গোল হয়নি, তখন আমি কিছুটা ভয়ই পেয়েছিলাম। তবে ৯৮ মিনিটে গোল হওয়ার পর কিছু রিল্যাঙ্ হই। শেষ পর্যন্ত শিরোপাই জিতে যাই।
আপনার বয়স তো এখন ১৯। আর কী খেলতে পারবেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ?
লিনা ম্যাগল : এটাই ছিল জুনিয়র দলের হয়ে এই ট্রফি জয়ের শেষ সুযোগ। আমার ভাগ্য ভালো, আমি জয় করতে পেরেছি।
সত্যি এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
এই ট্রফি জয়ের পর নিজের ভিতর কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন?
লিনা ম্যাগল : এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজেকে অনেক বিখ্যাত মনে হচ্ছে। রাতারাতি আমি উঁচুতে উঠে গেছি, এমন মনে হচ্ছে। কিন্তু আমি জানি, এমনটা ভাবলে আমার ক্যারিয়ারের এখানেই সমাপ্তি ঘটবে। আমি আমার ফুটবল ক্যারিয়ারকে দীর্ঘ করতে চাই। এখন আমি উলফসবার্গ ক্লাবে আসি, আর এই ক্লাবের হয়েও সেরা মুহূর্ত কাটাতে চাই।