প্রিমিয়ার ক্রিকেটে দলবদলের সুযোগ দিয়ে সাকিব আল হাসান নাটকে যতি টেনেছে বিসিবি। এবার আরও একটি চমক উপহার দিচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড। নিষেধাজ্ঞা কমায় ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় কোনো বাধা নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সাকিবকে ইনচেন এশিয়ান গেমসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। সাকিবকে খেলানো হবে সোহাগ গাজীর পরিবর্তে। সোহাগের বোলিং অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সোহাগের জায়গায় পাঠানো হচ্ছে বাঁ হাতি স্পিনার ইলিয়াস সানিকে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কোচের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত এবং অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য গত ৭ জুলাই সব ধরনের ক্রিকেটে ছয় মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এ ছাড়াও দেশের বাইরে লিগ খেলার ওপর দেড় বছরের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল বিসিবি। ফলে নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলতে পারবেন না। অবশ্য শাস্তির মেয়াদ পুনর্বিবেচনার জন্য গত ২০ জুলাই আবেদন করেন সাকিব। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ আগস্ট জরুরি বৈঠক করে ক্রিকেট বোর্ড। বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু রেখে দেয় দেড় বছরের বিধিনিষেধ। শাস্তির মেয়াদ কমানোয় ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ সৃষ্টি হয় সাকিবের। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বৈঠক শেষে স্পষ্ট করেই জানান, জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে পারবেন সাকিব। ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ হওয়ায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ১৭তম এশিয়ান গেমসে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাঁ হাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।
এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয় গত আসরে। ২০১০ সালের গুয়াংজু এশিয়াডে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। স্বর্ণ ধরে রাখার জন্য মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অধিনায়ক করে শক্তিশালী দল পাঠাচ্ছে এবার। সেই দলে ছিলেন সোহাগ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আইসিসি এবং ২১ দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে এই অফ স্পিনারকে। কার্ডিফে পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য মাশরাফি, তাসকিন, আবদুর রাজ্জাক রাজের সঙ্গে ফিরছেন সোহাগ। সোহাগের পরিবর্তে যাচ্ছেন আরেক বাঁ হাতি স্পিনার ইলিয়াস সানি। এর আগে আরেকজন বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীনই গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সোহাগের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তাকে নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে রাজি হয়নি বিসিবি। তাই নির্বাচক প্যানেল ক্রিকেট অপারেশন্সের সঙ্গে বৈঠক করে সাকিবকে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। বিসিবির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, এশিয়ান গেমসে ভারত ও পাকিস্তান না যাওয়ায় স্বর্ণ জেতা অনেকটাই সহজ বাংলাদেশের জন্য। তাই দলের শক্তি বৃদ্ধি করতেই সাকিবকে পাঠানো হচ্ছে। গেমসে বাংলাদেশ সরাসরি খেলবে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। বাংলাদেশের প্রথম খেলা ১ অক্টোবর। ফাইনাল ৩ অক্টোবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্ট ৫-৯ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ১৩-১৭ সেপ্টেম্বর।
তামিম, ইমরুল, সাকিব, মিথুন, শামসুর শুভাগত, সাব্বির, মাহমুদুল্লাহ, নাসির আরাফাত, মাশরাফি, মুক্তার, আল-আমিন, এনামুল ও তাসকিন