ফুটবলকে ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। নচেৎ এর মান দিনের পর দিন খারাপের দিকেই যাবে। হংকংয়ের কাছে হারার পর বেশ হতাশার সুরে কথাগুলো বললেন জাতীয় দলে একসময় মাঠ কাঁপানো ফুটবলার শেখ মো. আসলাম। বর্তমানে তিনি বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যও। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের পদক জেতার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলার। অতীত পারফরম্যান্স যদি বিচার করা হয় বাংলাদেশের ফলাফলকে হতাশাজনক বলা যাবে না। ইনচেনে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে গেমসে ২৮ বছর পর জয়ের মুখ দেখেছে। পরের ম্যাচে ফেবারিট উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ গোলে হার মানে। শক্তির বিচার করলে এ হার প্রত্যাশিতই বলা যায়। গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে তুলনামূলক ভালো খেলেও ২-১ গোলে হেরে যায়। তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। গত গেমসে এই হংকংয়ের কাছেই ৪-১ গোলে হেরে গিয়েছিল। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই হারলো। আসলাম বলেন, এবারের ফলাফলে প্রমাণ মিলেছে ঠিকমতো যত্ন নিতে পারলে ফুটবলেও ভালো কিছু করা সম্ভব।
আসলাম ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ফুটবলে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে টুর্নামেন্ট আসলেই যেনতেন প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে যাওয়া। এটা ঠিক এবার আগের চেয়ে সময় নিয়ে অনুশীলন করানো হয়েছে। কিন্তু এশিয়ান গেমসে ভালো ফলাফলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৩ বছর বয়সে সীমাবদ্ধ হলেও এখানে এশিয়ার শক্তিশালী দলগুলোই অংশ নিয়ে থাকে। দেখেন যত্ন নিলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তার প্রমাণ কিন্তু দিয়েছে ভিয়েতনাম। তারা এবার গ্রুপ ম্যাচে ইরানকে বিধ্বস্ত করেছে। হংকংকে হারাতে পারলেই এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলত। অনেকে ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু আমার ধারণা ছিল মামুনুলরা মাঠে দাঁড়াতেই পারবে না। সত্যিই মামুনুুলরা আমাকে অবাক করে দিয়েছে। পুরো ৯০ মিনিটই তারা সমানতালে লড়েছে। দম বা কৌশলের কারণে ১-২ গোলে হেরে গেছে। সত্যি বলতে কি মামুনুলরা এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা আমি ভাবতেই পারিনি। ম্যাচ দেখে আমার কষ্টটা বেড়ে গেছে। ওদের যদি আরও আগ থেকে প্রস্তুত করা হতো তাহলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত।