বিশ্বকাপসহ বড় ক্রীড়া আসরগুলোতে কনডমের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৮ সিউল অলিম্পিকে সাড়ে ৮ হাজার কনডম দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯২ সালের বার্সালোনা অলিম্পিকে প্রায় ৫০ হাজার এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল প্রায় দেড় লাখে। আর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে চলমান এশিয়ান গেমসে বিতরণ করা হবে ১ লাখ কনডম!
শুধু অলিম্পিক নয়, এশিয়ান গেমসের মতো বড় ক্রীড়া আসরেও কনডম বিতরণের বিষয়টি অনেকদিন থেকেই প্রচলিত। এবার ইনচন গেমসে প্রায় ১ লাখ কনডম বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।
গেমসের আয়োজকদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, অ্যাথলিট ও কর্মকর্তাদের মাঝে প্রতিদিন ৫ হাজার করে কনডম দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচির প্রথম তিনদিন সম্পর্কে আয়োজক চই হাইউং-দায়ে এএফপিকে বলেন, ‘প্রতিদিনই কনডম বিতরণ শুরু করার পর খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যাচ্ছে’।
তাই বলে যে সবাই একের অধিক যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন তা মনে করেন না হাইউং-দায়ে। তার ধারণা, অনেক অ্যাথলিট হয়ত স্যুভেনির মনে করে কনডমগুলো নিচ্ছেন, কারণ কনডমের প্যাকেটের গায়ে গেমসের লোগো রয়েছে। কনডমের প্রতি অ্যাথলেটদের এই আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইনচন গেমসের আয়োজকরা।
আয়োজকরা বলছেন, কনডম যেমন এইডসসহ অন্যান্য যৌন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, তেমনি দক্ষিণ কোরিয়ায় উৎপাদিত এই কনডমের মান সম্পর্কেও জানতে পারছে বিশ্ববাসী। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন এশিয়ান গেমসে ৪৫টি দেশের প্রায় ১০ হাজার ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন।