এশিয়ান গেমস হকিতে বাংলাদেশের যে ভরাডুবি হবে, সে ইঙ্গিত মিলেছে ওয়ার্ল্ড হকি লিগেই। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও হংকংয়ের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে জয় পেতেই নাভিশ্বাস উঠেছিল। তখন বাংলাদেশের পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলম বলেছিলেন, ছেলেরা নিজেদের সামর্থ্যের ৬০ ভাগও খেলতে পারেনি। এশিয়ান গেমসে জাপান কিংবা মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে চমক দেখানোর কথাও বলেছিলেন কোচ। সবই নাভিদ আলমের মিথ্যা আশ্বাস ছিল, তা বোঝা গেল কাল ইনচেনের সনাক হকি স্টেডিয়ামেই। ওমানের মতো দলের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ৩-২ গোলে হেরে গেল বাংলাদেশ। অথচ এশিয়ান গেমসের বাছাই পর্বে এই ওমানকেই ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বাংলাদেশ। নাভিদ আলমের কোচিংয়ে দিন দিন হকিতে যে ব্যর্থতার বোঝাটাই ভারী হচ্ছে।
গ্রুপ পর্ব শেষ হয়েছিল আগেই। কাল ছিল সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। ১১ মিনিটে পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়েও গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ৩৩ ও ৩৭ মিনিটে পর পর দুই গোল করে ওমান। ৩৯ মিনিটে কৃষ্ণ কুমার গোল পরিশোধও করেছিলেন। কিন্তু ৪৫ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় ওমান। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেও গোলে দেখা পায়নি চয়নরা। ৩-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। তবে কালকের খেলা দেখে মনে হয়েছে, ওমানের চেয়ে বাংলাদেশ হকিতে যোজন যোজন দূরে। ঠিকমতো বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আবার গোলের সহজ সুযোগগুলো তারা হাতছাড়া করেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশ সংঘবদ্ধ কোনো আক্রমণই করতে পারেনি।
মাঠে খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার পর সংবাদ সম্মেলনে আবারও পুরনো রেকর্ড বাজালেন কোচ নাভিদ আলম, 'আমাদের খেলোয়াড়রা অন্তত ৬-৭টা গোল মিস করেছেন। সেগুলো হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে, তারা আত্মবিশ্বাসীও ছিল। তারপরেও কেন যেন হলো না। তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, এই দলটাই এক সময় অনেক ভালো করবে। তবে যা ঘটেছে, তা অস্বাভাবিক নয়। হকিতে এমন ঘটতেই পারে।'