স্টিভেন স্মিথ অধিনায়ক হিসেবে মাইকেল ক্লার্কের মতো সাহসী নন অথবা আগ্রাসী ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে ভয় পাচ্ছেন তিনি। তা না হলে যে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৮৮ এর বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই, সেখানে ৩৪৮ রানের লিড নেওয়ার পরও কেন ইনিংস ঘোষণা করেননি? এমন পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি ক্লার্ক। হয়তো চতুর্থ দিনের শেষ বিকালে ৫-৬ ওভার ব্যাটিং করার জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ জানাতেন। তা ছাড়া যদি প্রতিপক্ষের কোনো সম্ভাবনাই না থাকে তাহলে কি আর টেস্ট জমে ওঠে। কিন্তু স্মিথ একটুও ঝুঁকি নিতে চান না। তিনি শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর হয়তো ইনিংস ঘোষণা করবেন। তা ছাড়া একদিনে ৩৪৮ রান করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু চতুর্থ দিন শেষেও তো ইনিংস ঘোষণা করেননি স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ২-০ ব্যবধানে জয়। তবে সিরিজ হারলেও প্রতি ম্যাচে প্রবল লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। এই ভারত আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। এর আগের সফরেই ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। সেবার ধোনির দল যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু এবার অন্য ভারতকে দেখছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও বোলাররা তাদের সামর্থ্যের পুরোটা উজাড় করে দিতে পারছেন না। সে কারণেই সিরিজ হারতে হয়েছে। অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেনে জয় পেলেও মেলবোর্নে ড্র হয়েছে। সিডনি টেস্টও ড্রর পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৫৭২ রানের জবাবে ভারত করেছে ৪৭৫ রান। কোহলি তার ইনিংসটাকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি। কাল আউট হয়েছেন ১৪৭ রানেই। তবে লোয়ার অর্ডারে প্রতিরোধ গড়েছিলেন অশ্বিন। ভারতীয় অলরাউন্ডার হাফসেঞ্চুরিও আদায় করে নিয়েছেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তবে রোজার্স, স্মিথ ও বার্নসের তিন হাফসেঞ্চুরিতে দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৫১ রান করেছে স্বাগতিকরা। সব মিলিয়ে লিড ৩৪৮। আজ অন্তত প্রথম ইনিংসে আরও বেশ কয়েক ওভার ব্যাটিং করবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর দিনের বাকি সময় ব্যাট করতে হবে ভারতকে। তবে ভারতের মতো বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ৮০-৯০ ওভার ব্যাটিং করা আহামরি কোনো ঘটনা নয়। তাই এই ম্যাচে ফলাফল পেতে হলে নাটকীয় কোনো ঘটনাই ঘটাতে হবে বোলারদের।