বিশ্বকাপে বান্ধবী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এতে বিপাকেই আছেন ধোনি-কোহলিরা। বিরাট কোহলির নায়িকা বান্ধবী আনুষ্কারও বেজায় মন খারাপ। ঠিক এই মুহূর্তে যেন বোমা ফাটালেন প্রাক্তন পাকিস্তানি তারকা স্পিনার সাকলাইন মুস্তাক। বলা যায় তিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের বান্ধবী নিয়ে যাবার একটা পথও বাতলে দিলেন।
মুস্তাক জানিয়েছেন, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে তিনি আলমারিতে স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখে টিম ম্যানেজমেন্টের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন। সাকলাইন বলেছেন, 'এটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্বের আগ পর্যন্ত স্ত্রীরা টিমের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়ে দিল, বৌদের সঙ্গে রাখা যাবে না। কিন্তু তিনি স্ত্রী সানাকে ফেরত পাঠাতে রাজি ছিলেন না। তাই দারুণ একটা পরিকল্পনা উদ্ভাবন করেন। পাকিস্তান টিমের যে যে হোটেলে ওঠার কথা, সেই তালিকা ধরিয়ে দেন স্ত্রীকে।
'টিম পৌঁছানোর আগেই হোটেলে চেক ইন করত সানা। পরে চলে আসত আমার ঘরে। কিন্তু সমস্যা ছিল আচমকা কোচ বা ম্যানেজার এসে গেলে কী করব? আমরা ঠিক করি, ঘরে কেউ এলেই সানা গিয়ে লুকোবে আলমারিতে।'
কিন্তু তা-ও ধরা পড়ে যান। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে নয়, টিমমেটদের কাছে। সাকলাইনের কথায়- 'একদিন মহম্মদ ইউসুফ আর আজহার মাহমুদ আমার ঘরে আড্ডা দিতে এসে হেসেই চলেছে। শেষে বলে, আমরা জানি ভাবী এখানে আছে। ভাবীকে আলমারি থেকে বেরিয়ে আসতে বল।' সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ