আফগানরা যখন ব্যাটিংয়ে নামে তাদের টার্গেট ছিল মাত্র ২১১ রান। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে এক সময় এই 'ছোট্ট' লক্ষ্যটাই এভারেস্টের চেয়ে উঁচু হয়ে যায় আফগানদের কাছে। শেষ চার ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩৮ রান। হাতে উইকেট ছিল মাত্র দুটি। স্কটিশরা যেভাবে লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করছিলেন, আফগানদের হারটা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু মজিদ হকের করা ওভারের প্রথম চার বল থেকে তিন ছক্কাসহ ১৯ রান নিয়ে পরিস্থিতি পাল্টে দিলেন সামিউল্লাহ সেনওয়ারী। কিন্তু পঞ্চম বলেই তিনি আউট হওয়ায় ম্যাচ চলে যায় স্কটিশদের গ্রিবে। কিন্তু শেষ উইকেট জুটি অপরাজিত থেকেই নিরাপদেই পৌঁছে দেন দলকে। ঐতিহাসিক এক জয় পায় আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে এটি তাদের প্রথম জয়। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস হলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সেনওয়ারী। ৯৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তিনিই তো আফগানিস্তানকে ধীরে ধীরে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। খেলেছেন ৯৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৫১ রান করেছেন ওপেনার জাভেদ আহমাদীও। তবে প্রথমে ব্যাটিং করা স্কটল্যান্ডকে মাত্র ২১০ রানে আটকে দিতে বড় ভূমিকা ছিল আফগান বোলারদের। দুই জাদরানই গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্কটিশদের। পেসার সাপুর নিয়েছে চার উইকেট, আর জাদরান নিয়েছেন তিনটি।