কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। দল দেশে ফিরে আসলেও অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যান হাতুরাসিংহে। সিডনিতে তার পরিবার থাকে। সেখানে তিনি মিডিয়ার মুখোমুখিতে বলেছিলেন, স্পিনারদের তিনি নেননি। একাদশ গঠনে তার মতামত নেওয়া উচিত ছিল। দল নির্বাচনে কোচের অংশগ্রহণ থাকা উচিত ছিল। এসব নিয়ে কাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুর্জয়, 'হাতুরাসিংহে এসব বলতে পারেন না। কারণ তিনি যা বলেছেন, এসব আচরণবিধি লঙ্ঘন। খেলোয়াড়দের নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রথমে নির্বাচকরা করেন। এরপর সেটা তারা ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে দেয়। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে পাঠানো হয় বিসিবি সভাপতি বরাবর। সেটা তিনি অনুমোদন দেন। বিসিবি সভাপতির অনুমোদনের পর আর কোনো বক্তব্য থাকা উচিত নয়। দল নিয়ে যেহেতু কোচ কথা বলেছেন, সেটা বোর্ড ও বোর্ড সভাপতির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছে তিন বাঁ হাতি স্পিনার নিয়ে। এই তিন স্পিনার নেওয়ার বিষয়ে বলেন, এদের তিনি নেননি। অথচ তিনি লেগ স্পিনার জুবায়ের রহমান লিখনকে চেয়েছিলেন। সরাসরি না বললেও নির্বাচকদের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। নির্বাচকদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরক্ত ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান, 'নির্বাচকদের তাদের মতো করে কাজ করতে দিতে হবে। আমি যতটুকু জানি, কোচের সঙ্গে আলাপ করেই দল নির্বাচন করেন নির্বাচকরা। অনেক সময় মতে মিল নাও হতে পারে। তাই বলে এভাবে বলা উচিত হয়নি।' দল নিয়েই শুধু কথা বলেননি হাতুরাসিংহে। বলেছেন, দল নির্বাচনে কোচের অংশগ্রহণও থাকা উচিত। কোচের এমন বক্তব্যের জবাবে দুর্জয় বলেন, 'কোচ যদি দল নির্বাচনের পার্ট হতে চান, তাহলে আমাকে কিংবা বোর্ডকে বলতে হবে। দল নির্বাচনে অংশীদার হতে চাই, মিডিয়ায় জানিয়ে কি লাভ? বলতে হবে আমাদের।' ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান মনে করেন, কোচের এমন মন্তব্য দলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে, 'আমার ব্যক্তিগত মত, যার যার অবস্থানে থেকে তার তার কাজ করা উচিত। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, প্রটোকল মানা উচিত।