সবাইকে ধন্যবাদ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এই সাফল্যের প্রধান দাবিদার ক্রিকেটাররাই। এরপরেই সবচেয়ে বড় অবদান কোচিং স্টাফদের। এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে আমি তো ভয়ই পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, কোনো ভয় নেই। হারি-জিতি আমরা বাঘের মতো লড়াই করব।
অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি ও টার্ন উইকেটে খেলা। অনেকে ভেবেছিল আমাদের ক্রিকেটাররা দাঁড়াতেই পারবে না। তারপর প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে হেরে যাওয়ার পর আরও বেশি ভয় লাগছিল। কিন্তু মাশরাফি আমাকে অস্ট্রেলিয়াকে থেকে ফোন করে বললেন, পাপন ভাই আসেন। ভয়ের কোনো কারণ নেই। তখন একটু সাহস পেলাম। তারপর কোচ হাতুরাসিংহে বললেন, প্রেসিডেন্ট ভয়ের কোনো কারণ নাই। আমরা ভালো করব। তখন আমার সাহস আরও বেড়ে গিয়েছিল।
সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের কোনো ক্রিকেটার এবার ভয় পায়নি। সাবি্বর রহমান ও সৌম্য সরকারের তো সবেমাত্র অভিষেক হয়েছে। কিন্তু ওরা বিশ্বকাপে বিশ্বসেরা বোলারদের যেভাবে তুলোধুনা করল তা আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছে।
মুশফিক তো আমাদের ব্যাটিং স্তম্ভ। প্রথম দুইটা ম্যাচে জয়ে প্রধান ভূমিকা ছিল ওর। তাসকিনের কথা আর কি বলব। ও এবারের আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার। সাকিব পেয়েছেন আট উইকেট। মাশরাফি পেয়েছেন সাত উইকেট। রুবেলের আট উইকেট আমার কাছে মনে হয় ৮০ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ার গভর্নরের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানেও দেখি রুবেলের ওই বোলিং স্পেলের ভিডিও দেখান হচ্ছে।
একটা সময় ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেউ খেলতে চাইতো না। কিন্তু এখন সবাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে চায়। আগামী কয়েক বছর অনেক সিরিজ রয়েছে আমাদের।
এবারের বিশ্বকাপে শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল নয়, আমরা আরও অনেক দূর যেতে পারতাম। সেসব নিয়ে বলতে চাই না। আমরা ক্রিকেটের মানুষ, আমাদের জবাবটা আমরা মাঠেই দেব। এ বছরই বাংলাদেশে আসছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাও আসছে। আমার বিশ্বাস, বিশ্বকাপে আমরা যেমন খেলেছি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দেশের মাটিতে সব দলকে হারাতে পারব।