বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ২০০৬ সালে ফরাসিদের কান্নায় ভাসিয়ে উৎসবে মেতেছিলেন বুফন-পিরলোরা। সেদিনের সেই দৃশ্যটাই যেনো ফিরে এসেছিল শনিবার বার্লিনে। তবে এবার বুফনদের মুখে হাসির পরিবর্তে চোখে কান্না। বার্সেলোনার কাছে নতি স্বীকার করে নিয়েছে জুভেন্টাস। কিন্তু তারপরও জুভেন্টাস ইতালিয়ান ফুটবলের পড়ন্ত বিকালে আশার সেই আলো যারা দূর দিগন্তে এখনই সূর্যোদয়ের আগমন ঘোষণা করে রাখল। কে না জানে, ইতালিয়ান ফুটবল মানেই জুভেন্টাস, এসি মিলান আর ইন্টার মিলানের দৌরাত্দ্য। যাদের প্রবল হুঙ্কারে এক সময় কেঁপেছে ইউরোপীয়ান ফুটবল। জুভেন্টাসের এই সাহসী যাত্রাকে অস্বীকার করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাও। জাভি যেমন পিরলোকে বুকে জড়িয়ে বার বার পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দিলেন। তেমনি পুরো বার্সেলোনা দল দুপাশে দাঁড়িয়ে জুভেন্টাসকে বরণ করে নিল পরম আপনজনের মতোই। কাতালানরা যেন নীরবে ঘোষণা করছিল, তোমরা পরাজিত হলেও তোমাদের মাথা নত হয়নি। বুফন-পিরলোরা বার্সেলোনার ভালোবাসায় মুগ্ধ হলো। ফুটবল কেবল জয়-পরাজয়ের খেলা নয়। এর চেয়েও বেশি কিছু। যেখানে এসে মিশে যায় বিশ্বের সব সংস্কৃতি। যেখানে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে গড়ে উঠে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যুগের সেরা দুই মিডফিল্ডার নিঃসন্দেহে জাভি-পিরলো। শনিবারের পর এ দুজনের সম্পর্কটা যে আরও কয়েক ধাপ উপরে উঠল তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আর জুভেন্টাসও তো কয়েক ধাপ উপরে উঠে এলো ইউরোপীয়ান ফুটবলে! বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ আর বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবগুলোর সঙ্গে এখন থেকে উচ্চারিত হবে জুভেন্টাসের নামও।