চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দুই দিন মাঠে কোনো বলই গড়ায়নি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ড্র হয়েছে। আগামী পরশু শুরু হচ্ছে ঢাকা টেস্ট। কিন্তু এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ক্রিকেটাররা মাঠে অনুশীলন করতেও পাচ্ছেন না। শুধুমাত্র একটু-আধটু ইনডোরে গা গরম করা ছাড়া আর অনুশীলন হচ্ছে না। চট্টগ্রামের মতো ঢাকা টেস্টটাও বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই বৃষ্টির ওপর মহাবিরক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। গতকাল প্রোটিয়া ক্রিকেটার ডিন এলগার বলেন, 'কখন খেলা শুরু হবে আর কখন বন্ধ হবে এটা বলা কঠিন। টেস্ট ম্যাচে বৃষ্টির কারণে যখন সময় নষ্ট হওয়াটা খুবই বিরক্তিকর। এটা খুবই হতাশার। এখন যে সময়টা চলছে এটা খুবই হতাশার। তারপরেও আমাদের চেষ্টা করতে হবে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে।'
চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দুই দিন বৃষ্টির কারণে খেলা না হলেও প্রথম তিনদিন তো খেলা হয়েছে। আর সেখানে আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। আফ্রিকানরা প্রথম ইনিংসে আড়াইশ রানও করতে পারেনি। এ সম্পর্কে এলগার বলেন, 'প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো করতে পারিনি। কিন্তু আমরা এক সময় ভালো অবস্থানেই ছিলাম, যখন উইকেটে আমি ও ডু প্লেসিস অপরাজিত ছিলাম। হঠাৎ আউট হয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। নতুন ব্যাটসম্যানদের পক্ষে উইকেটে গিয়ে দ্রুত সেট হওয়া অনেক কঠিন। তবে বাংলাদেশ অনেক ভালো বোলিং করেছে। আমাদের ব্যাটিংকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা কন্ডিশনের সুবিধাটা ভালোভাবেই আদায় করে নিয়েছে। তবে আমি ও প্লেসিস আউট হওয়ার পর দরকার ছিল একটা বড় উইকেট জুটি। সেটা হয়নি।'
ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, ভারনন ফিলান্ডারদের মতো তারকা বোলার থাকার পরও ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এই কন্ডিশনে প্রোটিয়া বোলাররা কি তাদের সামর্থ্য মেলে ধরতে আদৌও সক্ষম হবেন, নাকি? এলগার বলেন, 'আমাদের বোলাররা অনেক টেস্ট ম্যাচ এবং অন্য ফরমেটের ক্রিকেট খেলেছেন। অবশ্যই ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে।'
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিরুদ্ধে ড্র করাটাই বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে প্রোটিয়াদের জন্য এটা খুবই হতাশার। তাই চট্টগ্রাম টেস্টটা ড্র হওয়ায় ঢাকা টেস্ট তাদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ।