সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সবুজ জমিনে ভক্তরা বহুবার দেখেছেন জিনেদিন জিদান-ঝলক। কেবল একজন অসাধারণ ফুটবলার হিসেবেই নয়, ফরাসি তারকাকে ভক্তরা জেনেছিল দারুণ একজন মানুষ হিসেবেও। জিদান যুগ শেষ হয়ে গেছে বহু আগেই। তারপরও ভক্তদের হৃদয়ে তার রয়েছে স্থায়ী আসন। শত্রু-মিত্রের সমান ভালোবাসাই তিনি পেয়েছিলেন। বাবা জিদানের এ অর্জন কি ধরে রাখতে পারবেন ছেলে এনজো! বিস্ময়সূচক এই প্রশ্নটা গত কয়েক বছরে বহুবার উচ্চারিত হয়েছে। এমনকি তিনি রিয়াল মাদ্রিদ একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পরও সমালোচকরা বহু বিদঘুটে মন্তব্য করেছেন। জিদান-তনয় অবশ্য এসবের ধার-ধারেননি। এমনকি বাবা জিদানও এসব তেমন একটা আমলে নেননি। ছেলের মেধার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার প্রতিদানই দিচ্ছেন এনজো জিদান। একের পর এক দারুণ সব ম্যাচ খেলে রিয়াল মাদ্রিদের রিজার্ভ দলের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন তিনি। রিজার্ভ টিমের কোচ জিনেদিন জিদান ছেলের ওপর এতটাই সন্তুষ্ট হয়েছেন যে, তাকে নিজের দলের অধিনায়ক বানিয়ে দিয়েছেন।
একজন ফুটবলার হিসেবে এনজো জিদান সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসেন ২০০৪ সালে। সে সময় বাবা জিদান বিশ্বসেরা তারকা। খ্যাতির চূড়ায় অবস্থান করছিলেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে টানছিলেন নতুন নতুন রেখা। সে সময় বাবার হাত ধরেই রিয়াল মাদ্রিদের ইয়ুথ একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন এনজো। ২০১১ সালে হোসে মরিনহো কোচ থাকাকালীনই তাকে রিয়াল মাদ্রিদের সিনিয়র দলের সঙ্গে অনুশীলনের জন্য বাছাই করা হয়। এরপর দেখতে দেখতে এ দলের জন্য তিনি নির্বাচিত হন। ধীরে ধীরে ওঠে আসেন রিয়াল মাদ্রিদের রিজার্ভ টিম রিয়াল মাদ্রিদ কাস্টিয়াতে। এখানে কোচ বাবা জিনেদিন জিদান। ধীরে ধীরে বাবা জিদানের পাশাপাশি কোচ জিদানকেও জয় করে নেন এনজো। অথচ এক বছরও হয়নি তিনি খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদ কাস্টিয়াতে।