আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসি ইনজুরিতে, কিন্তু বার্সালোনায় তো আছেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। কিন্তু কোনোভাবেই বার্সালোনা সমর্থকদের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে স্বরূপে আবিভূত হলেন নেইমার। আর বার্সাও পেল বড় জয়।
নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে রায়ো ভায়োকানোকে পেয়ে যেন গোল উৎসবে মেতে উঠে বার্সেলোনা। আরও স্পষ্টকরে বললে, নেইমার। ভায়োকানোকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। যার মধ্যে চার গোলই এসেছে নেইমারের পা থেকে।
তবে এদিন শুরুটা ভালো হয় নি বার্সার। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মধ্যেই স্বাগতিকদের জালে বল জড়িয়ে দেন রায়ো ভায়োকানোর জাভি গুয়েরা। আরেকটি হারের শঙ্কায় হতাশায় মুষড়ে পড়ে মাঠে উপস্থিত প্রায় ৭৬ হাজার দর্শক।
তবে, এদিন আর হতাশ করেন নি নেইমার। তাই ভায়োকানো লিড ধরে রাখতে পারলো মাত্র ৭ মিনিট। ম্যাচের ২২তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে স্পট কিক নেন নেইমার। তাতেই সমতায় ফেরে বার্সা। এর ১০ মিনিট পর ডি বক্সের মধ্যে নেইমারকে হার্ড ট্যাকল করে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। ফলে আবারও পেনাল্টি। এবারও শট নিলেন নেইমার। লক্ষ্যভেদ করে বার্সাকে ২-১ এগিয়ে এ ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন। প্রথমার্ধে ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সা।
বিরতির পর ৬৯ এবং ৭০ মিনিটে পর পর দুই মিনিটে আরও দুই গোল করে বসেন নেইমার। ৬৯ মিনিটে বক্সের প্রায় ৬ গজ দুর থেকে বাম পায়ের শটে ভায়োকানোর জাল কাঁপান তিনি। সে সঙ্গে মৌসুমের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন তিনি। এক মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল। এবারও গোলদাতা নেইমার। সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শট নেন নেইমার।
এখানেই শেষ নয়, ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ভায়োকানোর জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লুইস সুয়ারেজ। এক্ষেত্রে পাশ্বনায়ক নেইমার। কারণ তার চমৎকার ক্রসে বল জালে পাঠান উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। ব্যবধান কমানোর মরিয়া চেষ্টা থেকেই ৮৬তম মিনিটে ব্যবধান কমান সোসাবেদ।
এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দুই নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে শীর্ষে আছে লেভান্তেকে ৩-০ গোলে হারানো রিয়াল মাদ্রিদ। ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে যাওয়া ভিয়ারিয়ালের সুযোগ রয়েছে শীর্ষে ফেরার।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব