শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে বিজয় কেতন উড়াল ঢাকা আবাহনী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে করাচি ইলেকট্রিক ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শুভ সুচনা করল ঢাকার ঐতিহ্যবাহি এ ক্লাব। ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য ছিল আবাহনীর। ফরোয়ার্ডদের মুহমুহ আক্রমনে দিসে হারা হয়ে পড়ে করাচির রক্ষকভাগ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমাত্বক ভাবে খেলতে থাকে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই করাচী ইলেকট্রিকের রক্ষণশিবির কাঁপিয়ে দেয়ার মত আক্রমন করেন আবাহনীর ফরোয়ার্ড সানডে ও ক্যাস্টার। ম্যাচের চার মিনিটে আবার আবাহনীর সানডের আক্রমন। এবার ভাগ্যজোরে রক্ষা পায় করাচি। মিনিট পাঁচের পর আবার করাচির রক্ষনভাগ কাপিয়ে দেয় আবাহনীর আক্রমন। ক্যাস্টারের নেয়া ওই শর্ট গোলবারের সামান্য পাশ দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৯ মিনিটে ক্যাস্টারের আরেকটি শর্ট রুখে দেয় করাচির গোলাম নবী। ম্যাচের ২৩ মিনিটে আসে কাঙ্খিত সেই গোল। ফ্রিকিক থেকে অসাধারণ গোল করেন ওয়ালী ফয়সাল। ২৯ মিনিটে আরেক দফা এগিয়ে যায় আবাহনী। অধিনায়ক প্রাণোতোষের কাছ থেকে বল পেয়ে অসাধারণ হেডের মাধ্যমে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে।
ম্যাচের প্রথম অংশ ২-০ গোলে শেষ হয়। ম্যাচের দ্বিতীয় অংশে খোলস থেকে বের হয়ে আসে করাচি ইলেকট্রিক। দ্বিতীয়ার্ধের ২৯ মিনিটে ভাল ভাবে ফিরে আসে করাচি। করাচির ফরোয়ার্ড মাহমুদ রাসুল অসাধারণ কোনাকুনি শর্টের মাধ্যমে আবাহনীর সাথে ব্যবধান কমায়। দ্বিতীয়ার্ধের ৩১ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় আবাহনী। ওয়ালি ফয়সালের নেয়া শর্ট ক্লিয়ার করতে যায় হায়াত উল্লা। বল তার গায়ে লেগে চলে যায় গোল পোস্ট। ফলে ব্যবধান বেড়ে হয় ৩-১। ৩৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়া সুযোগ তৈরি হয় ঢাকা আবাহনীর। সানডের কাছ থেকে বল পেয়ে দুদার্ন্ত একটি শর্ট নেয় ওযালি ফয়সাল। কিন্তু করাচির গোলকিপার অসাধারণ দক্ষতায় টেকিয়ে গোল বঞ্চিত করে আবাহনীকে। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে আবার ব্যবধান কমায় করাচি। আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান করাচির আকবর আলীকে ফাউল করলে পেলান্টির ঘোষণা দেন রেফারী। পেলান্টি থেকে গোল করে দলকে ব্যবধান কমায় করাচী।
ম্যাচ পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে করাচির হেড কোচ মাজিদ শফি ম্যাচ হারার জন্য অপরিচিত কন্ডিশনকে দায়ি করেছেন। তিনি বলেন- ম্যাচের প্রথম অংশে মাঠ ও পরিবেশ ভাল ভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল ম্যাচে ফিরে এসেছি। আগামী ম্যাচগুলো ভাল খেলার প্রত্যাশা করছি।
আবাহনীর হেড কোচ অমলেশ সেন বলেন, পরিকল্পিত ভাবে খেলেছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তবে দ্বিতীয়াধ্বে গিয়ে ছেলেরা কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পেড়েছিল। তাই প্রত্যাশা মত খেলতে পারিনি। আগামী এ ঘাটতি পূরণ করে আরো ভাল খেলব।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ অক্টোবর ১৫/ সালাহ উদ্দীন